এক নজরে সারা দেশের করোনা চিত্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা চলতি মাসের সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছে গেল রবিবার। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৬ হাজার ৭৩৮ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে সেটাই ছিল তখনও পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু রবিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেল। টানা ৪ দিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আক্রান্তের সংখ্যা শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই। পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ফের ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যায় গত ৫ দিন ধরেই বজায় রয়েছে এই অবস্থা। এই আবহে এমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার আশ্বাস, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ৩ থেকে ৪টি টিকা হাতে চলে আসবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৫২ জন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বুধবার দৈনিক সংক্রমণ ছিল ১৩ হাজারের কিছু বেশি। তার পর দিন অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের উপরে। সংক্রমণের সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে রবিবারও। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত ৮ হাজার ৬২৩। কেরলে আক্রান্ত ৩ হাজার ৭৯২। বাকি কোনও রাজ্যেই অবশ্য দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছোঁয়নি। সংক্রমণের হার ২.১১ শতাংশ। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ কোটি ১০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১৩ জন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৮। তার পর থেকে তা একশোর উপরেই। এই নিয়ে ৫ দিন একই পরিস্থিতি। দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হল ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫১ জনের। দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বদলে ফেলে নতুন করে আক্রমণ শানাচ্ছে করোনা। নয়া প্রজাতির করোনা সংক্রমণে তটস্থ মহারাষ্ট্র, কেরলের মতো রাজ্যগুলি। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র এবং কেরল থেকে আসা ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করেছে রাজস্থান। একই বিধি আরোপ করেছে পশ্চিমবঙ্গও।
করোনার নতুন প্রজাতির জেরে অতিমারি নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে এমস প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আগামী কয়েক সপ্তহের মধ্যে আমাদের হাতে ৩ থেকে ৪টি টিকা চলে আসবে। তবে একই কেন্দ্রে সবগুলি টিকা পাওয়া যাবে না।’’ কোনও নির্দিষ্ট স্থানে একাধিক টিকা পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন গুলেরিয়া। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে।