কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া ধাপে ধাপে সব খোলায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

গোটা দেশে আপাতত কয়েকটি বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারিই থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে মেট্রো রেল, আন্তর্জাতিক যাত্রিবাহী বিমানও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ১৯:০৮
Share:

চতুর্থ দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ রবিবার।— ফাইল চিত্র।

চতুর্থ দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে আগামিকাল ৩১ মে রবিবার। তার আগে শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল, কন্টেনমেন্ট জোনগুলোতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকছে। তবে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে থাকা এলাকায় ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে— কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি সব এলাকায় ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে সব কিছু।

Advertisement

কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী:

কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে কিছু বিষয় ছাড়া সমস্ত কিছু থেকেই ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে।

Advertisement

প্রথম ধাপে আগামী ৮ জুন থেকে ধর্মীয় স্থান, বেসরকারি অফিস, হোটেল-রেস্তরাঁ, শপিং মল সব কিছুই খুলে যাবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে কঠোর ভাবে।

দ্বিতীয় ধাপে খোলা যাবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং সেন্টার-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে এ ব্যাপারে ওই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর পর জুলাই মাসে এই সব প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে।

গোটা দেশে আপাতত কয়েকটি বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারিই থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে মেট্রো রেল, আন্তর্জাতিক যাত্রিবাহী বিমান, সিনেমা হল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার হল, বার, জিম, অডিটোরিয়াম, অ্যাসেমব্লি হল, সুইমিং পুল-সহ সামাজিক-রাজনৈতিক-ক্রীড়া-বিনোদন-সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় সমস্ত ধরনের বড় অনুষ্ঠান ও জমায়েত। তৃতীয় ধাপেয় গিয়ে এগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হতে পারে। তবে গোটাটাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে।

আগামী ১ জুন থেকে রাতের কার্ফুর সময়সীমা দেশ জুড়েই কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করা হচ্ছে। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বেরতে পারবেন না। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসান নির্দেশিকা জারি করবে।

আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের সমস্ত কন্টেনমেন্ট জোনে লকডাউন বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে কন্টেনমেন্ট জোন নির্ধারণ করবে জেলা প্রশাসন।

কন্টেনমেন্ট জোনের ভিতরে কেবলমাত্র আপৎকালীন পরিষেবাই চালু থাকবে।

রাজ্যগুলো নিজেদের মতো করে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে বাফার জোন বানাতে পারে। ওই বাফার জোনে কোন কোন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকবে, সেটাও ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলো।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্যগুলো কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরের এলাকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।

রাজ্যের ভিতরে এবং আন্তঃরাজ্য পণ্য পরিবহণে এবং মানুষজনের যাতাযাতে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। এই ধরনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও রকমের অনুমতি, অনুমোদন বা ই-পাসের প্রয়োজন নেই। তবে, স্বাস্থ্যবিধির কারণে যদি কোনও রাজ্য পরিস্থিতি অনুযায়ী কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তা বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুন: করোনার থেকে চার কদম এগিয়ে দিল্লি, দাবি কেজরীর​

১০ বছরের নীচে এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা থাকছে। কোমর্বিডিটি আছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।

সংক্রমণের ঝুঁকি আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক পর্যায়ে আরোগ্য সেতু সক্ষম। ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই অ্যাপ ঢাল হিসাবে কাজ করে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মস্থানে সকল কর্মীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement