ছবি: পিটিআই।
করোনা-মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ‘পিএম-কেয়ার্স’ তহবিলে কর্পোরেট সংস্থাগুলি তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা খাত থেকে অনুদান দিতে পারবে। কিন্তু ওই খাতে মুখ্যমন্ত্রীদের ত্রাণ তহবিলে বা রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে টাকা দেওয়া যাবে না। এই ‘বৈষম্য’ নিয়ে আজ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছেই নালিশ জানালেন বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীরা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বৈঠকের পরে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমি পিএম কেয়ার্স তহবিলে কর্পোরেট সংস্থাগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর থেকে টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছি। কেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর তহবিলেই এই টাকা দেওয়া যাচ্ছে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ত্রাণ তহবিলও আছে। অন্তত এই বিপদের সময়ে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোটা মেনে চলা হোক। সিএসআর-এর টাকা পেলে আমরাও রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় তা কাজে লাগাতে পারতাম।” কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরাও এই নিয়ে একই সুরে অভিযোগ তোলেন। পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এর জবাব দেননি। আমরা আলাদা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।”
পিএম-কেয়ার্স তহবিল নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থাকতেও কেন আলাদা করে এই তহবিল তৈরির দরকার পড়ল, সেই প্রশ্নের সঙ্গে এই তহবিলের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, তা নিয়ে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি মোদীকে নিশানা করে বলেন, “সিএসআর-এর সমস্ত টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজের নামের তহবিলে টেনে নিয়ে রাজ্যকে বঞ্চিত করছেন। অথচ রাজ্যগুলিই সামনে থেকে অতিমারির মোকাবিলা করছে। এটাই কি কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতা? অবিলম্বে কোম্পানি আইন সংশোধন করা হোক।”
মমতা বলেন, “আমরাও এখানে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল তৈরি করেছি। কর্পোরেট সংস্থাগুলি সেখানে কেন সিএসআরের টাকা দিতে পারবে না?” মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সিএসআর-এর টাকা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ মেনে নিলেও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দফতর জানিয়েছে, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে সিএসআর তহবিল থেকে টাকা দেওয়া যাবে। কর্পোরেট সংস্থাগুলি নিজেরাও করোনা-মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে পারে। তবে লকডাউন পর্বে ঠিকা শ্রমিক, দিনমজুরদের বেতন এই তহবিল থেকে মেটানো যাবে না। এককালীন আর্থিক সুবিধা দেওয়া যাবে।