Coronavirus Lockdown

শর্ত মেনে কাজ পরিযায়ীদের, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

২০ এপ্রিল থেকে করোনার থাবার বাইরে থাকা এলাকায় অল্প হলেও আর্থিক কর্মকাণ্ড চালু করতে শর্তসাপেক্ষে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:০৫
Share:

ছবি: পিটিআই।

আন্তঃরাজ্য সীমানা পেরোনো যাবে না এখনই। তবে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষার পরে ২০ এপ্রিল থেকে সেই রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সীমানাতেই কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কাজে নিয়োগের অনুমতি দিল কেন্দ্র। বেঁধে দিল তার জন্য নির্দিষ্ট শর্তও। নতুন জায়গায় আপাতত কাজ পেলেও, তাতে তাঁদের থাকা-খাওয়ার সুরাহা কতটুকু হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। আর যাঁরা কাজ পাবেন না, তাঁদের জন্যই বা ভাবনা কী, তা-ও এখনও খোলসা করেনি কেন্দ্র।

Advertisement

রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ২০ এপ্রিল থেকে করোনার থাবার বাইরে থাকা এলাকায় অল্প হলেও আর্থিক কর্মকাণ্ড চালু করতে শর্তসাপেক্ষে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে কেন্দ্র। সেই সূত্রেই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে জানানো হয়েছে, আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের কৃষি, শিল্প, নির্মাণের মতো কাজে নিয়োগের বন্দোবস্ত করতে পারে তারা। নিয়োগ করা যাবে একশো দিনের কাজেও। তবে কোনও অবস্থাতেই অন্য রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাঠানো যাবে না।

এ বিষয়ে সমস্ত রাজ্যকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শ, এই নিয়োগের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নথিভুক্ত করা হোক ওই শ্রমিকদের। দেখা হোক, কে কোন ধরনের কাজে দক্ষ। যদি তাঁদের কারও কর্মস্থল ওই একই রাজ্যে হয় এবং ২০ এপ্রিলের পরে সেখানে কাজে ফিরতে চান, তবে সবার আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে, তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ কি না। অর্থাৎ, করোনার কোনও লক্ষণ আছে কি না। এ ছাড়া ওই শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া এবং পথে খাবার নিয়েও কিছু নির্দেশিকা মানতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বাড়িই এখন অফিস’, বললেন নরেন্দ্র মোদীও

কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, কোনওক্রমে বাড়ি পৌঁছতে মরিয়া তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে যে রাজ্যের ত্রাণশিবিরে ওই শ্রমিকেরা আটকে রয়েছেন, সেখানেই আপাতত কাজ মিললে, কিছুটা সুরাহা হবে নিশ্চয়। কিন্তু আদৌ তা কতটা হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ যথেষ্ট।

আরও পড়ুন: টিকিটের দাম ফেরত পেতে মামলার হুমকি

যে সব রাজ্য এত দিনেও এঁদের জন্য কিছুই করেনি, তারা এখন এঁদের কাজে লাগাবে, এমন নিশ্চয়তাই বা কোথায়? কর্মী সংগঠনগুলির প্রশ্ন, অনাবাসী ভারতীয়দের যদি বিমানে করে বিদেশ থেকে ফেরানো যায়, তা হলে শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা গেল না কেন? সংক্রমণ রোখাই যদি উদ্দেশ্য হয়, তা হলে এত দিনে ত্রাণ শিবিরগুলিতে করোনা পরীক্ষা হয়েছে কত জনের? কে কোন কাজে দক্ষ, তা মাপার কাজই বা এত দিন ফেলে রাখা হল কেন? কত দূরে কাজ মিলবে, কী ভাবে তাঁরা কাজে যাবেন, সেখানে থাকার বন্দোবস্তই বা হবে কী ভাবে, উত্তর মেলেনি বহু প্রশ্নের।


(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement