সংবাদমাধ্যমগুলিকে সরকারি তথ্য প্রকাশের নির্দেশ আদালতের। ছবি: পিটিআই।
করোনা নিয়ে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরতেই হবে সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপে দেশ জুড়ে যখন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, ঠিক সেইসময় এমন নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। করোনা সঙ্কট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য প্রতি ২৪ ঘণ্টা অন্তর সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে হবে বলে কেন্দ্রকেও নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
লকডাউনের জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিকরা যে হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে এবং বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল। সেখানে সরকারের তরফে ভুয়ো খবরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো খবরের জেরেই লকডাউন উপেক্ষা করে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার একটি রিপোর্ট তুলে ধরে আদালতে তুষার মেহতা বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে হোক বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে, সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং ওয়েব পোর্টালগুলি ভুল রিপোর্ট প্রকাশ করলে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে। গোটা বিশ্ব যখন এই সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়ছে, সেইসময় ভুয়ো খবরের জেরে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়লে বর্তমান পরিস্থিতির পক্ষে তা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। এতে গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’
আরও পড়ুন: এক রাতে আক্রান্ত বাড়ল ২৪০, দেশে আক্রান্ত ১৬৩৭, মৃত ৩৮
আরও পড়ুন: মারা গেলেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেলঘরিয়ার প্রৌঢ়
সরকারের দেওয়া তথ্যের বাইরে সংবাদমাধ্যমগুলি যাতে কোনও পরিসংখ্যান ছাপতে বা সম্প্রচার করতে না পারে, সে ব্যাপারেও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান তুষার মেহতা। কিন্তু আদালত করোনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীন আলোচনায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। বরং নিজেদের রিপোর্টে করোনা নিয়ে সরকারের বক্তব্য এবং পরিসংখ্যান সংবাদমাধ্যমগুলিকে প্রকাশ করতে হবে বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলিকেও আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেয় আদালত। বলা হয়, যাচাই না হওয়া তথ্য পরিবেশন করে যাতে আতঙ্কের সৃষ্টি না করা হয়, সে ব্যাপারে দায়িত্বশীল হতে হবে সংবাদমাধ্যমকে।