Coronavirus

কমবে পিএফ, হাতে বেশি বেতন পাবেন কর্মীরা, তিন মাসের বন্দোবস্ত নির্মলার

সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ১২ শতাংশই কাটা হবে এবং সরকারও ১২ শতাংশই জমা দেবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ২০:৩০
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

লকডাউনের জেরে বেসরকারি সংস্থা হোক বা তাদের কর্মী, আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন সবাই। সেই অবস্থা থেকে কিছুটা সুরাহা দিতে প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) ও ট্যাক্স ডিডাকশন অযাট সোর্স (টিডিএস)-এ কম টাকা কাটার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর ফলে হাতে বেশি টাকা পাবেন কর্মীরা। আবার মালিকদের অংশ থেকেও কম টাকা কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আয়করের ক্ষেত্রেও স্বস্তি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

Advertisement

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ-এর) নিয়ম অনুযায়ী কর্মীদের মূল বেতনের ১২ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্যনিধি খাতে কাটা হয়। একই ভাবে নিয়োগকারী সংস্থাও ১২ শতাংশ টাকা জমা দেয় কর্মীর অ্যাকাউন্টে। অবসরের পর ওই খাতে জমা পড়া পুরো টাকাই সুদ-সহ ফেরত পান কর্মীরা। পিএফ খাতে এই ১২ শতাংশ টাকা কাটা বাধ্যতামূলক। বুধবার নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন, ‘‘আগামী তিন মাসের (জুন, জুলাই, অগস্ট) জন্য এই খাতে কাটা হবে ১০ শতাংশ। মালিকরাও জমা দেবেন ১০ শতাংশ।’’ তবে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ১২ শতাংশই কাটা হবে এবং সরকারও ১২ শতাংশই জমা দেবে।

অন্য দিকে টিডিএস এবং টিসিএস-এর ক্ষেত্রেও কিছুটা সুরাহা দেওয়ার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। আগামী এক বছরের জন্য টিডিএস-টিসিএস ২৫ শতাংশ কম কাটা হবে। উদাহরণ দিয়ে বললে, আগে যাঁর বেতন থেকে ১০০ টাকা কাটা হত, এখন সেই অঙ্ক দাঁড়াবে ৭৫ টাকা।

Advertisement

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের প্যাকেজ বিভ্রান্তিকর, মানুষকে স্বস্তি দিতে কিছুই নেই, তোপ মমতার

কিন্তু এতে আদতে কর্মীদের কি কোনও লাভ হবে? নির্মলা সীতারামনের দাবি, এর ফলে কর্মীরা হাতে নগদ টাকা বেশি পাবেন। উল্টো দিকে মালিক পক্ষেরও হাতে কিছুটা নগদের সংস্থান বাড়বে। আর্থিক সঙ্কট সামাল দিতে সেই টাকা উভয় পক্ষেরই কাজে আসবে। যদিও আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা সাময়িক ব্যবস্থা। এতে কর্মীদের লাভ কিছু হবে না। বেতনের টাকা হাতে নগদ বেশি পেলেও ভবিষ্যনিধি খাতে কম টাকা জমা পড়বে। এতে সরকারের কোনও খরচ হবে না। আবার যাঁদের বেতন থেকে টিডিএস কাটা হয়, বছর শেষে তাঁরা রিটার্ন জমা দিয়ে সেই টাকা ফেরত পান। এ ক্ষেত্রেও নিজেদের টাকাই কম কেটে হাতে বেশি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

সরকারের হিসাবে, এর ফলে সুবিধা পাবে দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ সংস্থা এবং প্রায় ৪ কোটি ৩০ লক্ষ বেসরকারি সংস্থার কর্মী।

আরও পড়ুন: চালু হয়ে গেল সরকারি বাস, কোন ১৩টি রুটে মিলবে পরিষেবা, দেখে নিন

তবে ছোট সংস্থার ক্ষেত্রে পিএফ খাতে কিছুটা অর্থসাহায্য করবে সরকার। সে ক্ষেত্রে দু’টি শর্ত রয়েছে। প্রথমত, কর্মীসংখ্যা হতে হবে ১০০-র কম। দ্বিতীয়ত, ৯০ শতাংশ কর্মীর বেতন হতে হবে ১৫ হাজার টাকার কম। এই রকম ছোট সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে মার্চ থেকে অগস্ট পর্যন্ত ৬ মাসের পিএফ-এর টাকা সরকার দেবে। এর ফলে লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে নতুন করে সংস্থাগুলি তাদের কাজকর্ম শুরু করতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement