পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম পুলিশ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
নাইট কার্ফু জারি হওয়ায় রাতের বেলায় বাইরে পা রাখার উপায় নেই আর। কিন্তু যেন তেন প্রকারে ঘরে ফিরতেই হবে। আর সেই তাড়নায় এ বার খাঁ খাঁ রোদের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকের ভিড় উপচে পড়ল। তল্পিতল্পা কাঁধে নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রহর গুনতে দেখা গেল কয়েক’শ মানুষকে।
শনিবার রাতে চতুর্থ দফায় ফের দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে আন্তঃরাজ্য বাস চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়। তাতেই বুকে বল পান বিহার থেকে কাজের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা। এ দিন সকাল হতেই বাসে ওঠার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানে জড়ো হন তাঁরা।
এ দিন কয়েকশো মানুষের ভিড়ে শামিল ছিলেন মহিলা এবং শিশুরাও। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূর, বরং পরস্পরের সঙ্গে গা ঘেঁষেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সকলকে। মাস্কের বদলে যেমন তেমন করে মুখে জড়ানো ছিল কাপড়।
বাড়ি ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: আপনার এলাকায় এ বার কী খুলবে, কী খুলবে না, দেখে নিন বিস্তারিত
আরও পড়ুন: ভিন্রাজ্যের নার্সরা ফিরে যাওয়ায় সঙ্কট, নয়া নিয়োগের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
কিন্তু এ ভাবে সকলে মিলে ভিড় করলে তো সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়বে? সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নে চটে ওঠেন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষগুলি। তাঁদের মধ্যে এক জন বলেন, ‘‘রোগের ব্যাপারে অতশত জানি না। কিন্তু না খেতে পেয়ে মরতে চাই না।’’
গত ২৫ মার্চ প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সময় থেকেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা। বাস, ট্রেন না চলায় হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বহু মানুষ। তা করতে গিয়ে খিদে, তেষ্টায় রাস্তাতেই প্রাণ হারান অনেকে। অনেকে আবার ট্রেনের চাকায় নয়তো লরির চাকায় পিষে প্রাণ হারান।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে এ মাসের শুরুতেই শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করে রেল মন্ত্রক। কিন্তু ট্রেনের ভাড়া জোগাড় করতেই হিমশিম খান অনেকে।