—ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের সঙ্গে মঙ্গলবারের অশান্তির ঘটনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও শাসক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীর। আটকে পড়া শ্রমিকদের একটা বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গের। ওই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রশ্ন তোলে, ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকরা খেতে না-পাওয়ার অভিযোগ করছেন কেন। এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিলেন, আটকে থাকা শ্রমিকদের আশ্রয় এবং খাদ্যের ব্যবস্থা যেন করা হয়।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করেছিলেন উদ্বিগ্ন মমতা। গোটা বিষয় নিয়ে সবিস্তার কথা হয় দু’জনের মধ্যে। মহারাষ্ট্রে করোনা-সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির খবর ছড়িয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটেই উদ্ধবকে ফোনটি করেন মমতা। বলেন, “আপনি নির্ভয়ে কাজ করুন। আমরা পাশে আছি।” রাজনৈতিক সূত্রের খবর, আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের দেখভাল করার জন্য ফের উদ্ধবকে অনুরোধ করেন মমতা। তাঁর রাজ্যে কী ভাবে ভিন্ রাজ্যের আটকে পড়া শ্রমিকদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে সে ব্যাপারে বিশদে তিনি অবহিত করেন উদ্ধবকে। উদ্ধব জানিয়েছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য তিনি ত্রাণ শিবির করেছেন। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা হয় দু’জনের মধ্যে।
বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও কথা বলেছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি সুদীপবাবুকে জানান, মালদহ জেলা থেকে আসা বহু শ্রমিক আটকে পড়েছেন মুম্বইয়ে। বিশেষ ট্রেনে তাঁদের পশ্চিমবঙ্গে ফেরত পাঠানো নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতামত চান। সূত্রের খবর, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে সুদীপবাবু পীযুষকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ট্রেনে এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিকককে ফেরত পাঠানো খুবই ঝুঁকির। বরং মুম্বইয়েই তাঁদের দেখভালের দায়িত্ব নিক সরকার। দলনেত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুদীপবাবু পীযুষকে জানান যে পশ্চিমবঙ্গেও বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকেরা আটকে রয়েছেন। রাজ্য সরকারই তাঁদের দেখভাল করছে।