ছবি: পিটিআই।
ত্রিপুরায় দিন কয়েকের জন্য আবার লকডাউন চালু হতে পারে। করোনা-র সংক্রমণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব এমনই ইঙ্গিত দিলেন। নৈশ কার্ফুর সময় বৃদ্ধির সঙ্গে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
এক জন চিকিৎসক-সহ ১৪১ জনের শরীরে গতকাল করোনা-র সংক্রমণ মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রী আজ জানান, গোমতী এবং খোয়াই জেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় করোনা আক্রান্তের হার বেড়েছে। ফলে, নৈশ কার্ফু কঠোর ভাবে পালন করতেই হবে। তাঁর বক্তব্য, গত রবিবার সম্পূর্ণ লকডাউনে সমগ্র ত্রিপুরাবাসী সহায়তা করলেও আবার কিছু শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। প্রতি দিন বাজারে ভিড় বাড়ছে। এবং কেউই পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে চলছেন না। রাত্রিকালীন কার্ফু চলাকালীন অনেকেই ঘোরাফেরা করছেন। তাই এখন থেকে নৈশ কার্ফু এবং কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী এক মাস বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য আবেদন জানান তিনি।
গত রাতেই মুখ্যসচিব সমস্ত জেলা শাসকদের সাথে ভিডিয়ো কনফারেন্সে-র মাধ্যমে কথাবার্তা বলেছেন। জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবার বাইরে রাত্রি ১০টার পরে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কেউ যাতায়াত করতে পারবেন না। বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় করোনা আক্রান্তের হার বেড়েছে। ফলে সীমান্তবর্তী ২ কিলোমিটার জুড়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পর দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত কার্ফু থাকবে।