National News

লকডাউন উঠলেই বিদেশে আটকে পড়াদের ফেরানো হবে, প্রস্তুতি কেন্দ্রের

একটি সূত্রের হিসেব অনুযায়ী, বিদেশে আটকে পড়া বা দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের সংখ্যাটা প্রায় ২ লক্ষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪৩
Share:

ভিন্ দেশে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনতে শুরু করে দিয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। লকডাউন উঠলে সে প্রক্রিয়া শুরু করবে ভারতও। ছবি: পিটিআই।

লকডাউন ওঠামাত্রই বিদেশে আটকে পড়া অথবা ইচ্ছুক ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে বিদেশে ভারতীয় দূতাবাস-সহ সব রাজ্যের পাশাপাশি অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক, এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে বিদেশ মন্ত্রক। একটি সূত্রের হিসেব অনুযায়ী, বিদেশে আটকে পড়া বা দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের সংখ্যাটা প্রায় ২ লক্ষ। সরকারি সূত্রের খবর, উপসাগরীয় অঞ্চলের ভারতীয়দেরই প্রথম দেশে ফেরানো হবে। তার পর প্রাধান্য পাবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং ব্রিটেনে আটকে পড়া বা ইচ্ছুক ভারতীয়রা।

Advertisement

এ বিষয়ে শনিবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। তাতে উপস্থিত ছিলেন বিদেশসচিব হর্ষ শ্রিংলা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয়কুমার ভাল্লা, অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ অর্থবিষয়ক দফতরের সচিব, শ্রম মন্ত্রকের সচিবরা। আগামী ৩ মে দেশে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে। তার পরেও এর সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি না হলেও ভারতীয়দের ফেরানোর বিষয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।

পরিকল্পনার স্তরে থাকলেও এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর প্রথমেই দিল্লিতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করবে বিদেশ মন্ত্রক। যদিও এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি মাসের গোড়া থেকে এ নিয়ে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে কেন্দ্র। কত জন ভারতীয় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বা বিদেশে গিয়ে আটকে পড়েছেন, তার আনুমানিক সংখ্যাও বিভিন্ন দূতাবাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এ নিয়ে রাজ্যগুলিকে তথ্য দিতে বলেছে কেন্দ্র। ভারতীয়দের ফেরানোর পর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, তা-ও জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের নির্দেশ, বিদেশ থেকে ফেরা প্রত্যেক ভারতীয়কে কোয়রান্টিনের রাখার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে।এ বিষয়ে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাসও মিলবে বলে জানানো হয়েছে পিএমও থেকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু

কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী, উপসাগরীয় অঞ্চলে মূলত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত সৌদি আবর, কাতার, ওমান এবং বাহরিনে আটকে পড়া বা ইচ্ছুক ভারতীয়দের প্রথমে ফেরানোর বন্দোবস্ত করা হবে। তবে দেশে ফেরানোর বিষয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলের ভারতীয়রাই কেন প্রাধান্য পাবেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: কিম জং-উন কি রিসর্ট শহর উনসানে? ট্রেন দাঁড়িয়ে বিশেষ স্টেশনে! বাড়ছে জল্পনা

উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে কর্মসূত্রে বা অন্যান্য কারণে প্রায় ৮০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের একটা বড় অংশ কেরলের বাসিন্দা। এ নিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ওই রাজ্যও। গত কাল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে রাজ্যে ফিরতে ইচ্ছুকদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে রাজ্য সরকারের কাছে। কেরলের প্রবাসীদের ওই সংক্রান্ত দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে তা করতে হবে। কেরল সরকার জানিয়েছে, বিদেশে থাকা অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, বয়স্ক, অসুস্থ, ছাত্র-সহ যাঁদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, তাঁরাই এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।

আরও পড়ুন: করোনার শিকার ২ লাখ পার, মৃত্যুর লাফ আরও লম্বা হচ্ছে বিশ্বে

লকডাউন শুরু হওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহে নিজেদের নাগরিককে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বহু অনুরোধ এসেছে ভারত সরকারের কাছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের ফলে দেশে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি কেন্দ্রের পক্ষে। এর ফলে বহু ভারতীয় আটকে পড়েছেন বিদেশে। গত কাল উপসাগরীয় অঞ্চলের একটি দেশের এক কূটনীতিক বলেন,“গত কয়েক সপ্তাহে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের সংখ্যাটা যে বৃদ্ধি পেয়েছে, এটা সত্যি। কেবলমাত্র ব্যবসায়ী বা পর্যটকই নন, এমন বহু কর্মী রয়েছেন, যাঁদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, নতুন চাকরি নেই বা অনেকে আবার ব্যক্তিগত কারণেও ভারতে ফিরতে চান।”


(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement