লকডাউনে শুনসান শিলিগুড়ি।—ছবি এএফপি।
যেখানে যেমন করোনার বাড়াবাড়ি, সেখানে তেমন কড়াকড়ি। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অবস্থানই নিতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
মোদী সরকারের মত হল, লকডাউন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীরাই নিজেদের রাজ্যে প্রয়োজনমাফিক ব্যবস্থা নেবেন। কেন্দ্রের তরফে সার্বিক ভাবে ফের লকডাউন জারির কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই। তবে কোনও ভাবেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাতে ঢিলে দেওয়া না-হয়, মঙ্গল ও বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে সতর্ক করে দিতে চাইছেন। এ দিকে লকডাউনের ফলে দেশের ক্ষতিই বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করে মোদীকে ফের বিঁধেছেন রাহুল গাঁধী। রাহুলের বক্তব্য, ‘‘লকডাউন ভুল নিশানায় আঘাত করেছে। অর্থনীতি ধসে গিয়েছে, অথচ করোনায় মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আইনস্টাইন বলেছিলেন, অজ্ঞানতার চেয়েও ক্ষতিকর জিনিস হল ঔদ্ধত্য। ভারতের লকডাউন-নীতি সেই কথাটাই আবার সত্য প্রমাণ করল।’’
সূত্রের খবর, সার্বিক লকডাউনের বদলে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শহরাঞ্চলে ‘কন্টেনমেন্ট এলাকা’য় প্রতি বাড়িতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপরেই জোর দেবেন। তবে রাজ্য চাইলে যে কোনও রকম কড়াকড়ি করতে পারে। কেন্দ্রের কাছে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে গিয়েছে। অনেক রাজ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী হাসপাতালের বেড বা অন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। ‘আনলক’ পর্ব শুরু হতে দূরত্ববিধি, মাস্ক পরার মতো শর্তও মানা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীদের সতর্ক করে দিতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কালকের করোনা-বৈঠকে বলার ডাক পেল না বাংলা
আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, “দিল্লিতে ফের লকডাউনের কোনও পরিকল্পনা নেই।” গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও জানিয়েছেন, যখন জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন ফের লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার। রাজস্থান ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের মধ্যে যাতায়াতে লাগাম পরিয়েছে। পঞ্জাব আগেই ছুটির দিন ও সপ্তাহান্তে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তামিলনাড়ু অবশ্য চেন্নাই ও তার সংলগ্ন তিনটি জেলা কাঞ্চীপুরম, চেঙ্গালপাট্টু ও থিরুভাল্লুরে ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এখন মহারাষ্ট্রের পরেই তামিলনাড়ু। রাজ্যের ৭০ ভাগ আক্রান্তই চেন্নাইয়ে।