National News. Coronavirus

ডিএইচএফএল কর্তাদের আইপিএস-এর চিঠি, ‘ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ শিবসেনার

দেবেন্দ্র ফডণবীস বলেছিলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে লকডাউনের নিয়ম গরিব ও বড়লোকদের জন্য আলাদা।’’ সামনায় তার জবাব দিল শিব সেনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৫৩
Share:

অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার অমিতাভ গুপ্ত। —ফাইল চিত্র

লকডাউনের মধ্যেও লোকলস্কর নিয়ে খাণ্ডালা থেকে মহাবালেশ্বরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু মহাবালেশ্বরেই পুলিশ আটক করে ডিএইচএফএল গ্রুপের শীর্ষকর্তা দুই ভাই কপিল ও ধীরাজ ওয়াধবনকে। কিন্তু গোটা ঘটনায় শুরু হয়ে গিয়েছে দায় চাপানোর রাজনৈতিক খেলা। গতকাল বিজেপি তোপ দেগেছিল শিবসেনা-সহ মহারাষ্ট্রের জোট সরকারকে। সোমবার কার্যত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের ঘাড়েই দোষ ঠেলে দিল শিবসেনা। দলের মুখপত্র সামনায় দাবি করা হয়েছে, যে আইপিএস অফিসার অমিতাভ গুপ্তর চিঠি নিয়ে ওয়াধাবন ভাইয়েরা মহাবালেশ্বর গিয়েছিলেন, তাঁকে ফডণবীসের সময়েই নিয়োগ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ অগধি’ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়েছে ওই সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে।

Advertisement

অমিতাভ গুপ্ত মহারাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব। তাঁর চিঠি নিয়েই বৃহস্পতিবার খাণ্ডালার গেস্ট হাউস থেকে ডিএইচএফল এর দুই শীর্ষকর্তা কপিল ও ধীরাজ ওয়াধবন পাঁচটি গাড়িতে প্রায় ২০ জনকে নিয়ে মহাবালেশ্বরের ফার্ম হাউসে পৌঁছন। এর পরেই আইপিএস অমিতাভ গুপ্তর ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে। তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় মহারাষ্ট্র সরকার।

এই ঘটনা সামনে আসতেই দেবেন্দ্র ফডণবীস আক্রমণ শানান উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিরুদ্ধে। কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে লকডাউনের নিয়ম গরিব ও বড়লোকদের জন্য আলাদা।’’ সোমবার সামনার সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে কার্যত বিজেপির সেই আক্রমণেরই জবাব দেওয়া হয়েছে। অমিতাভ গুপ্তকে দেবেন্দ্র ফডনবীসের সময়েই স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিবের পদে বসানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। টেনে আনা হয়েছে কেন্দ্র তথা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকেও।

Advertisement

আরও পড়ুন: ধারাভি বস্তিতে কোয়রান্টিনে থাকা সকলকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাওয়াতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার

অমিতাভ গুপ্তর ওই চিঠির পিছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধও পেয়েছে সামনা। প্রতিবেদনের বক্তব্য, ‘‘এ বার বিষয়টা স্পষ্ট যে অমিতাভ গুপ্তর সিদ্ধান্তের পিছনে কার ইশারা ছিল এবং কার নির্দেশে তিনি মহারাষ্ট্র বিকাশ অগধি সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন।’’

১৯৯২ ব্যাচের আইপিএস অফিসার অমিতাভ গুপ্ত মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব নিযুক্ত হন ২০১৮ সালে। ওয়াধবন ভাইদের মহাবালেশ্বরে যাওয়ার জন্য যে চিঠি দিয়েছিলেন অমিতাভ গুপ্ত, তাতে তিনি ‘পারিবারিক বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। বিষয়টি সামনে আসতেই মহারাষ্ট্রের সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘটনার তদন্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: লকডাউন কোথায়, কতটা ছাড়, কাল জানাবেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএইচএফএল এবং ইয়েস ব্যাঙ্কের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই ও ইডি তদন্ত করছে ওয়াধবন ভাইদের বিরুদ্ধে। তাঁরা ফেরার ছিলেন বলে দুই তদন্তকারী সংস্থাই জানিয়েছিল। মহাবালেশ্বরে পৌঁছনোর খবর পেয়ে দুই সংস্থাই সেখানকার প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে, কোয়রান্টিন শেষ হওয়ার পরেও ছাড়ার আগে তাদের অনুমতি নিতে হবে। ফলে অনেকেই মনে করছেন, কোয়রান্টিন শেষ হওয়ার পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement