প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস এসে এ বিশ্বের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। পরিবর্তন এনেছে মানুষের অভ্যাসে। নতুন নতুন শব্দের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছে। এক বছর আগেও যা আমাদের শব্দভাণ্ডারে ছিল না।
করোনাকে কেন্দ্র করে প্রতি দিনই কোনও না কোনও নতুন তথ্য উঠে আসছে। তেমনই নতুন শব্দের প্রয়োগ হচ্ছে—কোয়রান্টিন, প্যানডেমিক, স্যোশাল ডিসট্যান্সিং-এর মতো এই শব্দগুলো তো এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্তত যত দিন করোনার প্রভাব থাকবে তত দিন তো বটেই।
করোনার আনুকূল্যে কোয়রান্টিন বা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-এর মতো শব্দগুলোর সঙ্গে গোটা বিশ্ব এখন অনেক বেশি পরিচিত। তবে সম্প্রতি এই করোনাই আরও একটি শব্দের ‘জন্ম’ দিয়েছে। তা হল ‘এয়ারগাজম’।
করোনার সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মতো মাস্কও আমাদের নিত্যসঙ্গী। করোনা আবহে এই দুটো জিনিস কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। কিছু ক্ষণ পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখাটা এখন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছি আমরা। তেমনই বাইরে বেরলেই মাস্ক পরতে হচ্ছে। দীর্ঘ ক্ষণ মাস্ক পরে থাকাটাও আবার অস্বস্তিকর। কিন্তু সেই অস্বস্তির সঙ্গেও পরিস্থিতি অনুযায়ী খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে আমাদের।
আরও পড়ুন: উঠতে পারে ‘মানচিত্র’ প্রসঙ্গ, ১৭ অগস্ট ভারত-নেপাল বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক
‘এয়ারগাজম’ এই শব্দটা সেই মাস্কের সঙ্গেই জড়িত। দীর্ঘ ক্ষণ মাস্ক পরে থাকার পর সেটা খুললে যে স্বস্তি এবং ভাল ভাবে নিশ্বাস এবং প্রাণ ভরে মুক্ত বাতাস নেওয়ার একটা অবকাশ তৈরি হয়, এই পরিস্থিতিটাকেই পরিচিত করা হয়েছে ‘এয়ারগাজম’ শব্দটি প্রয়োগের মাধ্যমে। সে সময় যে অনুভূতিটা তৈরি হচ্ছে সেটাকে বলা হচ্ছে ‘এয়ারগাজমিক’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই শব্দটি নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে।