উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেটমন্ত্রী কমলরানি বরুণ। ছবি: সংগৃহীত।
কোভিড-রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল ১৪ দিন আগে। চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল লখনউয়ের এক হাসপাতালে। তবে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে অবশেষে হার মানলেন উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেটমন্ত্রী কমলরানি বরুণ। রবিবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৬২। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ১৮ জুলাই লখনউয়ের সঞ্জয় গাঁধী পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট (এসজিপিজিআই)-এ ভর্তি করানো হয়েছিল কমলরানিকে। ওই দিনই তাঁর কোভিড-রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। এসজিপিজিআই-এর ডিরেক্টর রাধাকৃষ্ণ ধীমান বলেন, “ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে জীবনদায়ী ব্যবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছিল। আমাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়।”
যোগী আদিত্যনাথ সরকারে কারিগরি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন কমলরানি। কানপুরের ঘটমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কমলরানি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবাতেও নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে এ দিনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিও বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। আগামী ৫ অগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপূজন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে অযোধ্যায় যাওয়ার কথা ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর।
কমলরানির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইটারে আদিত্যনাথ লিখেছেন, “ক্যাবিনেট মন্ত্রী কমলরানি বরুণের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। এসজিপিজিআই হাসপাতালে তাঁর কোভিড-চিকিৎসা চলছিল। জনপ্রিয় নেতা ও সমাজসেবক ছিলেন তিনি। ক্যাবিনেটের অঙ্গ হিসাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব সামলেছেন।”
আরও পড়ুন: নজরে প্যাংগং, লাদাখে আজ ফের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক
আরও পড়ুন: মেডিক্লেমে ‘না’, কোভিড রোগী ভর্তি করাতেই দেড় লক্ষ দাবি হাসপাতালের!
যোগী ক্যাবিনেটের মন্ত্রী হওয়া ছাড়াও একাদশ ও দ্বাদশ লোকসভার সদস্যও ছিলেন কমলরানি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি এ দিন তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। কোভিড সংক্রমণের জন্য আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এ দিন তিনি টুইটারে লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশ সরকারের ক্যাবিনেটমন্ত্রী অকালমৃত্যুর খবরটি দুঃখজনক। ঈশ্বরের কাছে তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করি এবং তিনি যেন এই শোকবহনের জন্য তাঁর পরিবারকে শক্তি দেন, এই প্রার্থনা করি।”