ছবি: সংগৃহীত।
করোনা প্রকোপে বিধানসভা ভবনে বর্ষাকালীন অধিবেশন করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই খোলা আকাশের নীচে ত্রিপুরা বিধানসভার অধিবেশন বসানোর ভাবনা শুরু হয়েছিল। বিকল্প স্থানের অনুসন্ধানও শুরু হয়। যাতে দূরত্ববিধি বজায় রেখে অধিবেশন চালানো যায়। ত্রিপুরার পরিষদীয় তথা আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ শনিবার আগরতলার হেরিটেজ পার্কের গ্যালারিটি পরিদর্শন করেন।
বিহারে জ্ঞান ভবনে সম্রাট অশোক ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বসবে বিধানসভার অধিবেশন। মহারাষ্ট্রে ভাবা হচ্ছে পার্কিং লটের কথা। এ দিন হেরিটেজ পার্ক দেখে রতনলাল বলেন, “কোথাও নিম গাছের নীচে বা অর্ধেক বিধায়ক নিয়েও বিধানসভা অধিবেশন চালানোর কথা জানতে পারছি। গত কাল বিধানসভার সচিব এসে দেখে গিয়েছেন এই জায়গা। আজ আমি দেখে গেলাম। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি এখনও। এই জায়গায়ে আদৌ অধিবেশন করা যাবে কি না, সকলের সঙ্গে কথা বলেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এই পার্কে দূরত্ববিধি বজায় রাখা সম্ভব হবে বলেই মন্তব্য করেন রতনলালবাবু। তবে বসার আসন, ছাউনি, কর্ডলেস মাইকের বন্দোবস্ত করতে হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
যদিও রাতে ত্রিপুরা বিধানসভার অধক্ষ্য রেবতীমোহন দাশ জানিয়ে দেন, হেরিটেজ পার্কে অধিবেশন হবে না। বিধানসভাতেই যাতে দুরত্ব বজায় রেখে বসা যায় সেই বন্দোবস্ত হচ্ছে। রাজ্যের অধিবেশন কক্ষে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। তবু প্রতি দল থেকে অর্ধেক বিধায়ককে আসতে বলা হবে। অধিবেশন হবে এক বা দু’দিনের। বিভিন্ন রাজ্যে এই ভাবেই সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে বলে অধ্যক্ষ উল্লেখ করেন। বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলে অধিবেশনের দিন স্থির হবে বলে তিনি জানান। ত্রিপুরায় মার্চ মাসের শেষ দিকে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন বসেছিল। চলার কথা ছিল পাঁচ দিন। কিন্তু কোভিড অতিমারির কারণে মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে দু’টি অধিবেশনের মধ্যে ছ’মাসের বেশি ব্যবধান রাখা যায় না। তাই সেপ্টেম্বরে অধিবেশন করতেই হবে।
রাজ্যে ইতিমধ্যেই খোলা আকাশের নীচে স্কুলের পড়াশোনা শুরু হয়েছে। ৮ হাজার গ্রুপে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রী এই ‘নেইবারহুড ক্লাস’ করছে। সেই রকম কিছু ক্লাসও এ দিন পরিদর্শন করেন রতনলালবাবু। তিনি জানান, তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাস কমানো হয়েছে। ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ শতাংশ সিলেবাস কমানো হবে। বিরোধীরা অবশ্য মাঠের ক্লাস নিয়ে আপত্তি তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য ঘাসে বসে ক্লাস হচ্ছে। এ সময়ে মশা বাড়ে। পড়ুয়ারা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে হিতে বিপরীত হবে।