প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমণ ও তার জেরে মৃত্যুতে রাশ টানা যাচ্ছে না। এ নিয়ে ঘরে-বাইরে তীব্র সমালোচনার মুখে কোভিড অতিমারি মোকাবিলায় ১০টি টিম গড়ল ত্রিপুরা সরকার। সমন্বয়ের স্বার্থে প্রতি টিমে থাকছেন এক জন তরুণ আইএএস অফিসার এবং এক জন চিকিৎসক। এ ছাড়া, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি রাখতে গোবিন্দ পন্থ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকে সপ্তাহে পাঁচ দিন হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে। সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক এই সমিতির চেয়ারম্যান।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে গত কাল এক বৈঠক করেন। সেখানেই এই সব সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিদ্ধান্তগুলি পালন করা হবে। যদিও এতেও সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না রাজ্য সরকার।
করোনা অতিমারির শুরু থেকেই বিরোধীদের, এমনকি খোদ শাসক দলের বিধায়করাও চিকিৎসা পরিষেবা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ তুলে আসছেন। সিপিএম পশ্চিম জেলার সম্পাদক পবিত্র করের অভিযোগ, আগে থেকে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার| এখন এই টিম গঠনই মুখ্যমন্ত্রীর এত দিনের গাফিলতির প্রকাশ| আসলে বিজেপিরই বিধায়ক এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ এবং আর এক বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী রাজ্য সরকারকে দু’-তিন দিনের চুড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন| এতেই ঘাবড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এখন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন|
গত কালের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কি এত দিন রাজ্যে এত লোকের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন!” সুবলবাবু বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী| তিনি বলছেন, সংক্রমণ অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাড়বে বলে চিকিৎসকরা নাকি আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন| আবার এ-ও বলছেন যে, ভুল-ত্রুটি কিছু থাকতে পারে, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিকই রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শুধু দেশের অন্য রাজ্যের নয়, তুলনা টানছেন ইউরোপের!