মাস্ক পরতে অনীহা। ছবি পিটিআই।
গত ছ’মাসের মধ্যে সব চেয়ে নীচে নামল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৬,৪৩২ জনের। তবে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কিছুটা অস্বস্তি রয়ে যাচ্ছে। কারণ, কেন্দ্রের হিসেবে ৬০ শতাংশ অ্যাক্টিভ রোগী যে রাজ্যগুলিতে রয়েছেন, তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ তৃতীয়।
গত ২৫ জুন সারা দেশে ১৬,৯২২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ফলে ১৮০ দিনেরও আগের পরিসংখ্যানের কাছাকাছি ফিরে গেল দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। চলতি মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার ২০ হাজারের নীচে নামল সংক্রমণ। গত কাল থেকে কোভিড-জয়ী হয়েছেন ২৪,৯০০ জন। সুস্থতার হার ৯৫.৯২ শতাংশে পৌঁছেছে। সারা দেশে সংক্রমিতের নিরিখে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২.৬৩%। তবে ব্রিটেন-ফেরত ৬ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেনটির অস্তিত্ব মেলায় সরকার এখন বাড়তি সাবধানী। কারণ, সেটির সংক্রমণ ক্ষমতা প্রায় ৭০% বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন।
বিভিন্ন রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর বর্তমান হারের একটি রেখচিত্র আজ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোট আক্রান্তের ৬০% অ্যাক্টিভ রোগী যে রাজ্যগুলিতে, তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কেরল (২৩.৯২%), তার পরে মহারাষ্ট্র (২১.৭১%)। তৃতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ (৫.৪৮%)। উৎসবের মরসুমে সুরক্ষাবিধি পালনে কিছুটা শৈথিল্য দেখা গিয়েছিল কেরলে। তার পরেই সংক্রমণ বেড়েছে ওই রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে পুজোর সময়ে আদালতের নির্দেশে ভিড়ে লাগাম পরানো গেলেও বড়দিনের কলকাতার রাস্তায় আবার বেপরোয়া, মাস্কবিহীন ভিড় হয়েছে। ফলে আজকের পরিসংখ্যানের আবহে সুরক্ষাবিধি পালনের বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যে চার রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচির মহড়া (ড্রাই রান) আজ সফল ভাবে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলা, গুজরাতের রাজকোট ও গাঁধীনগর, পঞ্জাবের লুধিয়ানা ও শহিদ ভগৎ সিংহ নগর এবং অসমের শোণিতপুর ও নলবাড়ি জেলায় এই মহড়া হয়েছে। টিকাকরণ বাদে বাকি প্রতিটি ধাপে (এন্ড টু এন্ড) মহড়ার জন্য নির্দিষ্ট দল গঠন করা হয়েছিল। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে গত কালের ‘ফিল্ড ফিডব্যাক’ আজ খতিয়ে দেখেন কেন্দ্র ও রাজ্যের শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, ‘‘মহড়ার প্রতিটি ধাপের কাজ এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সব রাজ্য। কো-উইন (মোবাইল অ্যাপ) প্ল্যাটফর্মের উন্নতির বিষয়টি নিয়েও কিছু পরামর্শ এসেছে।’’