দিল্লির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে করোনা রোগীকে। ছবি—রয়টার্স।
৫ এপ্রিল প্রথম বার দেশের দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। তার পর দু-একদিন বাদ দিলে ধারাবাহিক ভাবে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার তা সাড়ে ৩ লক্ষ ছাড়ানোর পর মঙ্গলবার কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তা কমার অন্যতম কারণ মহারাষ্ট্র-সহ কয়েকটি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ কম হওয়া।
গত বছরের মতো এ বছরের সংক্রমণের নিরিখে দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। গত কয়েক দিন ধরে সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬০ হাজারের আশপাশে। মঙ্গলবার সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭০০ জন। তবে উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশিই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৫১ জন। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় লকডাউন জারি হয়েছে কর্নাটকেও। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত ২৯ হাজার ৭৪৪ জন। কেরলেও মঙ্গলবার ২১ হাজার ৮৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে।
রাজস্থান (১৬,৪৩৮), তামিলনাড়ু (১৫,৬৪৮), পশ্চিমবঙ্গ (১৫,৯৯২), ছত্তীসগঢ়ে (১৫,০৮৪) দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। গুজরাত (১৪,৩৪০), মধ্যপ্রদেশ (১২,৬৮৬), হরিয়ানা (১১,৫০৪), বিহার (১১,৮০১) এবং তেলঙ্গানায় (১০,১২২) সংক্রমণ পরিস্থিতি যথেষ্ট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ। ওড়িশা (৬,৫৯৯), পঞ্জাব (৬,২৭৬), ঝাড়খণ্ড (৫,৫৪১), উত্তরাখণ্ডেও (৫,০৫৮) গত কয়েক দিনে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গোয়া, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ হাজারের নীচে রয়েছে।
সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন রাজ্যই লকডাউন বা রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করেছে। সেই কড়াকড়ির জেরে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি লাগামছাড়া হয়ে ওঠার প্রবণতায় কিছুটা হলেও ছেদ পড়েছে।