ছবি: এপি।
দিল্লির করোনা-সংক্রমিত এলাকার (করোনা-ক্লাস্টার) তালিকায় যুক্ত হল শাহিন বাগের নামও। সেখানে তিন জন করোনা পজ়িটিভ হওয়ায় রাজধানীতে করোনা-ক্লাস্টারের সংখ্যা পৌঁছল ষাটে। তবে এর সঙ্গে কোনও ধর্ম, সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকে যেন জড়ানো না-হয়, সেই আর্জি জানাচ্ছেন ওই আন্দোলনে শামিল থাকা অনেকে। সরকার জানিয়েছে, শাহিন বাগ পুরো সিল করা হয়েছে। স্যানিটাইজ় করার কাজ শুরু হয়েছে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ।
শাহিন বাগে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা শাহিন কওসরের মন্তব্য, “এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা দেশের সঙ্গে শামিল আমরাও। যা যা নিয়মকানুন, তা মেনে চলার চেষ্টা করছি। তার পরেও কোনও ধর্ম কিংবা আন্দোলনকে কাঠগড়ায় তুললে, তা খুব বেদনাদায়ক।” তবলিগি জামাতের ঘটনার পরে সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমের একাংশ যে ভাবে করোনা ছড়ানোর জন্য মুসলিমদের নিশানা করছে, তাতেও ব্যথিত তাঁরা।
আন্দোলনে শামিল অনেকেরই বক্তব্য, সংক্রমণ রুখতে সরকার নিয়ম জারির পরেই রাস্তা জুড়ে আন্দোলনের জায়গায় সাবধানতা বাড়িয়েছিলেন তাঁরা। প্যান্ডেলে এক সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি বসতেন না। বিস্তর ফাঁক রাখতেন একে-অপরের সঙ্গে। থাকত মাস্ক। ব্যবহার করা হত স্যানিটাইজ়ারও। ওই জায়গা খালি করে দেওয়ার পরেও তেমন প্রতিবাদ করেননি স্থানীয়রা। এত দিন পরে করোনা ‘হটস্পট’-এর খাতায় শাহিন বাগের নাম ওঠায় ফের ওই আন্দোলনকে কারণ হিসেবে টেনে আনা হলে, তা অযৌক্তিক হবে বলে তাঁদের দাবি। এর মধ্যেই জেএনইউ কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে লকডাউন ভাঙলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মার্চ পর্যন্ত এক দিনের বেতন চেয়ে নির্দেশিকা
আরও পড়ুন: করোনার পর কেমন বৃদ্ধির হার ভারত-সহ বিশ্বের? IMF-এর পূর্বাভাস
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)