ছবি: সংগৃহীত।
করোনার ধাক্কায় অসমের সবচেয়ে বড় উৎসব বহাগ বিহুতে গুয়াহাটির সব অনুষ্ঠান, বিহুটুলির নাচ, জমায়েত, মেলা, প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে যাচ্ছে। গুয়াহাটির ২৬টি বিহু কমিটি বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত নেয়, যেহেতু যে কোনও জন সমাবেশ বিপদ ডাকতে পারে, তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এবারের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে। বিহু সংক্রান্ত আচার অনুষ্ঠান ঘরোয়া ভাবে সারার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে, গত ১০ মার্চ থেকে মায়ানমার সীমান্ত বন্ধ রাখা হলেও মণিপুর সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোরে সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজন মণিপুরি। দু'জন মহারাষ্ট্র থেকে আসা পর্যটক, ১০ জন বিহার থেকে সড়ক তৈরিতে আসা শ্রমিক। তাঁদের মোরেতেই কোয়রান্টিনে রাখা হয়। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মণিপুরি ব্যক্তি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ইম্ফলে পাঠানো হয়েছে। তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য গুয়াহাটি পাঠানো হয়েছে। করোনার কারণে মণিপুরে সব বাজার, রেস্তোঁরা, মল, থিয়েটার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ ভারতে আটকে পড়া উত্তর-পূর্বের মানুষদের ফেরাতে এর্নাকুলাম থেকে আজ একটি বিশেষ ট্রেন রওনা হয়েছে। তা সোমবার সকালে গুয়াহাটি পৌঁছবে। স্পাইসজেট ৩০ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা থেকে গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়গামী তাদের সব উড়ান বাতিল করেছে। আগরতলা থেকে গুয়াহাটি হয়ে চেন্নাইগামী ইন্ডিগোর বিমান ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাতিল থাকছে। ভুটানের ড্রুক এয়ার তাদের আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল করেছে।
আরও পড়ুন: অন্তত ১২ করোনা আক্রান্ত ঘুরে বেড়িয়েছেন ট্রেনে, সতর্ক করল ভারতীয় রেল
এ দিকে, গত রাতে করিমগঞ্জের বদরপুর স্টেশনে করোনা আতঙ্কে আগরতলা-দিল্লি আনন্দবিহার এক্সপ্রেস থেকে চিইউবুকা ও দামিললা নামে নাইজেরিয়ান তরুণ-তরুণীকে নামিয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, তারা বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে আগরতলা থেকে দিল্লির ট্রেনে উঠেছিল। করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলেও অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য আজ তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।