প্রতীকী ছবি।
টিকাকরণ অভিযান শুরুর পরেও দেশে করোনা সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। বরং নতুন বছরের নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে গোটা দেশ জুড়ে নয়, মূলত ৫টি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিরই প্রভাব পড়েছে জাতীয় করোনা-চিত্রে।
মহারাষ্ট্র ও কেরলের পাশাপাশি পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ফলে ফের আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৪২১। বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের বেশি। পাঁচ রাজ্যের কারণে টানা পঞ্চম দিন সংক্রমণের এমন ভয়াবহ অগ্রগতি দেখা গেল দেশে।
গত বছরের নভেম্বরের শেষ পর্বের পর ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার তিন শতাংশ পেরোল বলে সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে। গত, ২৭ নভেম্বর সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৩.৮৫ শতাংশ। গত সপ্তাহের গোড়ায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার নেমে এসেছিল ১.৫৭ শতাংশে। কিন্তু তার পর থেকেই তা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নতুন সংক্রমণের ঘটনার ৭৪ শতাংশই মহারাষ্ট্র এবং কেরলের। পাশাপাশি, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়েও সংক্রমণের ঘটনা যথেষ্ট বেড়েছে’। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত সাত মাসে গড়ে দৈনিক সংক্রমণে ৫,২৩০ ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। ডিসেম্বরের পরে এই হার সর্বাধিক। কেরলের ক্ষেত্রে এই গড় ৪,৩৬১।
মহারাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে অমরাবতী, আকোলা, আঁচলপুর, বুলধানা, ওয়াসিমের মতো কিছু জেলায়। এই জেলাগুলির মধ্যে কোথাও আংশিক, কোথাও আবার পূর্ণ লকডাউন জারি করেছে সে রাজ্যের সরকার। পাশাপাশি, রাজ্য জুড়েই কঠোর ভাবে কোভিড বিধি বলবতের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।