ছবি: পিটিআই।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠনের পক্ষপাতী ছিলেন না রাহুল গাঁধী। মহারাষ্ট্রে করোনা মোকাবিলায় ও পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে আজ উদ্ধব সরকারের ভূমিকা নিয়ে পরোক্ষে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাহুলই।
আজ রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, কংগ্রেস যেখানে পরিযায়ী শ্রমিক, কাজ হারানো কর্মী, দরিদ্রদের হাতে সরাসরি টাকা দেওয়ার পক্ষে এত জোরালো সওয়াল করছে, সেখানে মহারাষ্ট্রে তেমন উদ্যোগ এখনও সে ভাবে চোখে পড়ছে না কেন? রাহুল বলেন, “যে সমস্ত রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে, সেখানে কৌশল এক রকম। সেখানে ওই নীতি কার্যকর করার যথাসাধ্য চেষ্টাও করছি আমরা। ভাল কাজ হচ্ছে ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে কংগ্রেস জোট সরকারে শামিল। সেখানেও আমরা যতটা সম্ভব চাপ তৈরির চেষ্টা করছি।’’
তাঁর এই মন্তব্যে বিপাকে পড়েছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা। কংগ্রেস ও শিবসেনার টানাপড়েন শুরু হলে বিজেপি উদ্ধবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে ফের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবে, এই আশঙ্কাও ঘনীভূত হয়েছে। কারণ দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বইকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখতে রাজি নন বিজেপি নেতৃত্ব। রাহুলের মতে, ‘‘জোট সরকারে অত চাপ তৈরি করা সম্ভব হয় না। আর ফলও হয় অন্য রকম।”
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিপর্যয় ঠেকাতে ঋণ নয়, গরিবদের টাকা দিন: মোদীকে রাহুল
আরও পড়ুন: বিনিয়োগবন্ধু রাজ্যের তালিকা তৈরি হচ্ছে: নির্মলা
রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে কি আরও বেশি টাকা দেওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রের?
রাহুলের জবাব, “মহারাষ্ট্র-সহ সব রাজ্যের হাতেই আরও বেশি টাকা যাওয়া জরুরি ছিল। বিশেষত মহারাষ্ট্র যেখানে কার্যত দেশের আর্থিক রাজধানী।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি মনে করি, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রের কাজ মূলত সংযোগ স্থাপন এবং পরিচালনার। আর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দায়িত্ব মূলত রাজ্যগুলির। অভিযোগ উঠছে, রাজ্যগুলিকে যতটা টাকা দেওয়া দরকার ছিল, তা দেওয়া হচ্ছে না। আমি মনে করি সিদ্ধান্তের কেন্দ্রীকরণে লাভ হবে না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পর্যাপ্ত তহবিল না-পাওয়ার কথা বলছেন বহু বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও।”