Coronavirus

‘আলোর নির্দেশিকা’ নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের

মোদীর নির্দেশ অনুযায়ী, আগামিকাল গোটা দেশের বাসিন্দাদের রাত নটায় ৯ মিনিটের জন্য বাড়ি অন্ধকার করে মোমবাতি, টর্চ অথবা মোবাইল ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৪
Share:

ছবি: পিটিআই।

‘অন্ধকার এবং অনিশ্চয়তা থেকে আলোর দিকে এগোনোর’ ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর কী ভাবে সেই আলোর পথযাত্রী হবেন ভারতবাসী, তারও নির্দেশিকাও গেঁথে দিয়েছেন। আজ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

মোদীর নির্দেশ অনুযায়ী, আগামিকাল গোটা দেশের বাসিন্দাদের রাত নটায় ৯ মিনিটের জন্য বাড়ি অন্ধকার করে মোমবাতি, টর্চ অথবা মোবাইল ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর কথা। গোটা পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনা এবং বিতর্কও অবশ্য কম নয়। প্রশ্ন উঠছে, গোটা দেশের ডাক্তার, নার্স এবং চিকিৎসাকর্মীরা যখন করোনা থেকে বাঁচার সাজসরঞ্জামের অভাব রয়েছে বলে গলা ফাটাচ্ছেন, শ্রমিক এবং ঠিকাকর্মীদের যখন লকডাউনে হাঁড়ির হাল, তখন মোমবাতি উৎসব কি প্রহসন নয়?

রাহুল আজ টুইট করে বলেছেন, “করোনাভাইরাস খুঁজতে পর্যাপ্ত পরীক্ষা হচ্ছে না ভারতে। তালি দিলে অথবা আকাশে টর্চের আলো ফেললে সমস্যার সমাধান হবে না।’’ প্রাক্তন বিজেপি নেতা এবং পরে বিজেপি-বিরোধী মঞ্চের সদস্য যশবন্ত সিন্‌হার বক্তব্য, “দেশে কুসংস্কার ছড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁর কুর্সির অপপ্রয়োগ করতে পারেন না। কেন দেশ এটা মানবে? খুব দেরি হওয়ার আগে সবাই জেগে উঠুন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: যুব-মাঝবয়সিরা বেশি বিপদে, দাবি সমীক্ষায়

রাজনীতিকদের মতে, ৫ এপ্রিল দিনটি বিজেপির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যার সঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই। ইতিহাস বলছে, ১৯৮০ সালের ৫ এপ্রিল, সাড়ে তিন হাজার প্রতিনিধি নিয়ে সভা করে ভারতীয় জনতা পার্টি নামক একটি পৃথক রাজনৈতিক দল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন জনতা পার্টির অন্দরের জনসঙ্ঘপন্থীরা। সেই অনুযায়ী বিজেপির চল্লিশ বছর পূর্তিও রবিবারই। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর কথায়, “আপৎকালীন বিষয়গুলির দিকে নজর না-দিয়ে গোটা দেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন মোদী।’’ বিরোধীদের দাবি, দলের চল্লিশ বছর পূর্তিতে নিজেদের সরকারের দাপট বোঝানোর এ এক অভিনব কৌশলও বটে।

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র বিরাজমান বিজেপির ‘নম্বর টু’ অমিত শাহ এই সঙ্কটের সময়ে কোথায়? নিজামুদ্দিন কাণ্ডের পরে তাঁর একটি টুইট দেখা গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু দেশে যখন কার্যত জরুরি অবস্থা চলছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই যখন বেশির ভাগ সঙ্কটমোচনের দায়িত্বে তখন তাঁর কোনও বক্তব্য বা সক্রিয়তা কিন্তু সামনে আসছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবশ্য জানাচ্ছে, কথা নয়, কাজেই বিশ্বাসী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি নেপথ্যে করোনা মোকাবিলার জন্য যা যা করার, সবই করছেন।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement