Coronavirus in India

টিকাকরণ নিয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থা, মহারাষ্ট্র সরকারকে তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

মহারাষ্ট্রের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের যে ক’টি রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২১ ১৫:৫৯
Share:

প্রকাশ জাভড়েকর। ছবি: সংগৃহীত।

মহারাষ্ট্রের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যাবতীয় দায় উদ্ধব ঠাকরে সরকারের ঘাড়ে ঠেলে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি, করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থা রয়েছে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে। বুধবার জাভরেকরের দাবি, কেন্দ্রের পাঠানো টিকার মাত্র ৪৪ শতাংশই ব্যবহার করেছে মহারাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও শিবসেনা সাংসদেরা ওই রাজ্যের জন্য আরও টিকার আবেদন করছেন। টিকাকরণের এই অব্যবস্থার জন্যই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সঙ্গিন হয়ে উঠেছে বলেও মনে করেন তিনি।

Advertisement

বুধবার উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তথ্য ও সম্প্রচার তথা পরিবেশ মন্ত্রী জাভড়েকর। তাঁর টুইট, ‘যে ৫৪ লক্ষ টিকা মহারাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ১২ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ২৩ লক্ষ টিকাই ব্যবহার করতে পেরেছে মহারাষ্ট্র সরকার। ৫৬ শতাংশ টিকা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এখন শিবসেনা সাংসদেরা রাজ্যের জন্য আরও টিকার আবেদন করছেন’। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘প্রথমে অতিমারি রুখতে অব্যবস্থা, আর এখন টিকা নিয়ে প্রশাসনিক গাফিলতি’।

মহারাষ্ট্রের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের যে ক’টি রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তার মধ্যে মহারাষ্ট্র রয়েছে শীর্ষস্থানে। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে নতুন সংক্রমণের ৬০ শতাংশই দেখা দিয়েছে মহারাষ্ট্রে। বুধবারও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৮ হাজার ৯০৩টি সংক্রমণের মধ্যে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই ১৭ হাজার ৮৬৪ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ ছাড়াও ওই রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও হু হু করে বেড়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে উদ্ধব সরকারের গাফিলতিই যে দায়ী, সে অভিযোগ আগেই করেছিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই রয়েছেন ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৯ জন সক্রিয় রোগী।

Advertisement

মহারাষ্ট্র ছাড়াও পঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাত, তামিলনাড়ু এবং কেরলেও দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। এমত অবস্থায় বুধবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ এবং টিকাকরণ কর্মসূচির পর্যালোচনা করে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে ভাবেই হোক, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থামাতেই হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement