প্রতীকী ছবি।
প্রতিষেধক নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা নগণ্য সংখ্যায় করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন বলে দাবি করলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ়ই পেয়েছেন, তাঁদের মাত্র ৬ শতাংশ করোনা রোগীদের সেবা করতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত হয়েছেন। আর আক্রান্তদের অধিকাংশই বাড়িতে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এমন নজির কম নেই। ফলে জনমানসের একাংশ মনে করছে যে, প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও যখন করোনা হচ্ছে, তখন টিকা নেওয়া অর্থহীন। এই দ্বিধা কাটিয়ে প্রতিষেধক নিতে এগিয়ে আসার জন্য আজ অনুরোধ করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পল। তাঁর ব্যাখ্যা, “আজকে পেশাগত কারণে সব চেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাই টিকার দু’টি ডোজ়প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা কী সংখ্যায় সংক্রমিত হচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়।”
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টিকাপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের কেবল ছয় শতাংশই সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমিত হলেও ৭৫ শতাংশের শরীরে মামুলি উপসর্গ দেখা যায়, যার বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি হয়েছিলেন, সেই ২০ শতাংশের মধ্যে আবার ৬ শতাংশেরই কেবল অক্সিজেন দরকার হয়েছিল। আইসিইউ-য়ে ভর্তি করতে হয় ৮ শতাংশকে, যাঁদের মধ্যে মারা যান ১ জন। সেই স্বাস্থ্যকর্মী অবশ্য ক্রনিক রোগে ভুগছিলেন।
বিনোদ পলের বক্তব্য, “স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষায় প্রতিষেধক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, তা সমীক্ষা থেকেই স্পষ্ট। তাই দেশের সব মানুষ সমস্ত দ্বিধা ঝেড়ে টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগ দিন।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রকও সমস্ত রাজ্যকে ফের একপ্রস্ত চিঠি লিখে দ্রুত রাজ্যের প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকাকরণের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছে।
রাজ্যগুলিকে দেওয়া অন্য আর একটি চিঠিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ও তাঁদের উপর হামলাকারীদের সংশোধিত অতিমারি আইনে শাস্তি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল দেশের সব রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবদের চিঠি লিখে জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে রয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও কর্নাটকে রোগীদের সঙ্গীদের হাতে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন একাধিক চিকিৎসক। সে জন্যই এই চিঠি।