গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে আজ। তার ঠিক আগেই আশঙ্কা বাড়িয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় ফের রেকর্ড হল দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৯৮৭। এ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হননি। একই সঙ্গে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেল প্রায় ৯১ হাজারের কাছাকাছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে দেশে এই মুহূর্তে মোট কোভিড আক্রান্ত ৯০৯২৭ জন। উদ্বেগ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত ও তামিলনাড়ুকে নিয়ে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের। এই নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২,৮৭২। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ১১৩৫ জনের। ৬২৫ জন মারা গিয়েছেন গুজরাতে। মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ২৪৩, পশ্চিমবঙ্গে ২৩২। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে দিল্লি (১২৯), রাজস্থান (১২৬) ও উত্তরপ্রদেশ (১০৪)।
দেশের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণের সন্ধান মিলেছিল কেরলে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষ উঠে গিয়েছিল মহারাষ্ট্র। তার পর থেকে মহারাষ্ট্রের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়নি অন্য কোনও রাজ্যে। এখনও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সেই মহারাষ্ট্রেই। সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,৭০৬। যা সারা দেশের মোট আক্রান্তের তিন ভাগের এক ভাগ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৫৮৫ জন। এর পরে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৩৩৩ জন। গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৩০৮ জন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে রাজস্থান (৪,৯৬০), উত্তরপ্রদেশ (৪,২৫৮), পশ্চিমবঙ্গ (২,৫৭৬), অন্ধ্রপ্রদেশ (২,৩৫৫), পঞ্জাব (১,৯৪৬), তেলঙ্গানা ১,৫০৯, বিহার (১,১৭৯), জম্মু-কাশ্মীর (১,১২১) ও কর্নাটকের (১০৯২) মতো রাজ্য।
আরও পড়ুন: ঘরমুখো আরও ১৬৯ নার্স, পরিষেবায় অশনি সঙ্কেত
পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৫৭৬। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫ জন। রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৩২ জনের। যদিও রাজ্য সরকারের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৬০।
আরও পড়ুন: গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে না তো! শুরু সমীক্ষা
তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার হার বৃদ্ধিতে কিছুটা আশা জাগাচ্ছে। মোট আক্রান্তের মধ্যে ৩৪ হাজার ১০৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরেছেন। এই সংখ্যা মোট আক্রান্তের ৩৭.৫১ শতাংশ।