পুষ্পবৃষ্টি নিয়ে সমালোচনায় সরব নেটাগরিকরা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
করোনা সৈনিকদের কুর্নিশ জানাতে আকাশে চক্কর কাটছে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হচ্ছে হাসপাতালগুলির উপর। রবিবার সকাল থেকে দেশের নানা প্রান্তে এমনই ছবি চোখে পড়েছে। তা নিয়ে এ বার দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেলেন নেটাগরিকরা। বায়ুসেনার এই উদ্যোগকে এক দিকে যেমন প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন একাংশের মানুষ, তেমনই এর তীব্র সমালোচনা করেছে আর একটি অংশ। তাঁদের দাবি, এ ভাবে টাকা অপচয় না করে সামনে থেকে যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য টেস্ট কিট ও পিপিই-র জোগান বাড়ালে দেশের পক্ষে শুভ হত।
নোভেল করোনার প্রকোপে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধিতেও প্রায় প্রতিদিনই নয়া নজির তৈরি হচ্ছে দেশে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিক, সেনা বাহিনীর জওয়ান এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের অভিবাদন জানাতে দিনকয়েক আগে পুষ্পৃষ্টি-সহ একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। সেই মতো রবিবার সকাল থেকে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি নিজেদের মতামত জানিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন ইন্তেখাব আলম নামের এক ব্যক্তি টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তাতে একহাতে সন্তানকে কোলে নিয়ে, অন্য হাতে জিনিসপত্র্ টানতে টানতে এগিয়ে যেতে দেখা যায় এক মহিলাকে। ইন্তেখাব লেখেন, ‘‘১০০ কোটি টাকা খরচ করে সরকার যখন মনোরঞ্জন করতে ব্যস্ত, সেইসময় ১০ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে সুরত থেকে হেঁটে ইলাহাবাদ যাচ্ছেন এই মহিলা।’’
আরও পড়ুন: করোনা-যোদ্ধাদের স্যালুট জানাল সেনা, আকাশ থেকে হাসপাতালে পুষ্পবৃষ্টি
সতীশ সাজ্জা নামের এক ব্যক্তি লেখেন, ‘‘আকাশ থেকে হাসপাতালগুলির উপর পুষ্পবৃষ্টি করতে যা খরচ হল, তা কোথায় খরচ করলে ভাল হত, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত সরকারের।’’
মনদীপ সিংহ নামের এক ব্য়ক্তি লেখেন, ‘‘পুষ্পবৃষ্টি না করে আকাশ থেকে পিপিই ফেলতে পারত সরকার।’’
বায়ুসেনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করে গত দু’দিন ধরেই টুইটারে সরব একাধিক মানুষ। সাকেত গোখেল নামের এক ব্যক্তি লেখেন, ‘‘রবিবার আকাশে চক্কর কাটার সময় আকাশ থেকে টেস্ট কিট এবং পিপিই ফেলতে পারবে কি বায়ুসেনা? তা করলে অন্তত মুখরক্ষা হবে।’’
আরও পড়ুন: মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রবেশ নিষেধ, পোস্টার পড়ল ইনদওরের গ্রামে
স্বাতী সিংহ নামের এক মহিলা লেখেন, ‘‘বেতন কাটা নিয়ে, সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব নিয়ে চিকিৎসকরা যখন অভিযোগ জানাচ্ছেন, সেই সময় নির্লজ্জ ভাবে, শুধুমাত্র হেঁয়ালি করে টাকা নষ্ট করা হচ্ছে।’’