Narendra Modi

বুদ্ধপূর্ণিমাতেও মোদীর মুখে টিকারই কথা

দিল্লির শ্মশানের অনির্বাণ আগুন এখন ইউরোপ এবং আমেরিকার পত্রিকার প্রচ্ছদে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২১ ০৬:০৯
Share:

ফাইল চিত্র।

দেশে কোভিড প্রতিষেধকের আকাল। বিভিন্ন রাজ্যে কার্যত স্তব্ধ ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। জোগান বাড়াতে আমেরিকা সফরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই আবহে আজ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ভিডিয়ো বক্তৃতায় নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর কাছে টিকাকরণের প্রয়োজনিয়তা ব্যাখ্যা করলেন। জানালেন, অতিমারির সঙ্গে লড়ে প্রাণ বাঁচাতে পারে প্রতিষেধকই।

Advertisement

বিরোধীরা বলছেন, যেখানে সরকার টিকাই জোগাড় করতে পারছে না, সেখানে এ সব বলে লাভ কী? তাঁদের প্রশ্ন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভাবমূর্তি সামাল দিতেই কি মোদী এ সব বলছেন? দিল্লির শ্মশানের অনির্বাণ আগুন এখন ইউরোপ এবং আমেরিকার পত্রিকার প্রচ্ছদে। এমতাবস্থায় আজ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক উৎসবের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। সেই সঙ্গে এ দিন করোনার বিশ্বব্যাপী ধ্বংসাত্মক ভূমিকার উপরেও মোদীকে জোর দিতে দেখা গিয়েছে। যা ভারতের উপর থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড বিশ্ব অর্থনীতির ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘অতিমারিতে প্রত্যেকটি দেশ প্রভাবিত। আগামী দিনেও বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির উপরে তার বিরাট প্রভাব থাকবে।’’ এই অনলাইন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী-সহ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশনের মহাসচিবও।

Advertisement

এই আন্তর্জাতিক বুদ্ধ সার্কিটের সামনে মোদী বলেন, ‘‘গত এক বছরে অতিমারি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান তৈরি হয়েছে। এতে লড়াইয়ের কৌশল উন্নত হয়েছে, প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে যা অতিমারিকে নির্মূল করা এবং প্রাণ বাঁচানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’ প্রধানমন্ত্রী ভারতের সেই সব গবেষক ও বিজ্ঞানীদের কুর্নিশ জানান, যাঁরা টিকা তৈরি করেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর সঙ্গে মোদীর কথা হয়েছে। কোভিড সহযোগিতার জন্য মাকরঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে টুইট করেন মোদী।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এশিয়ায় সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে ভারত ও চিনের অন্যতম প্রিয় ‘হাতিয়ার’ বুদ্ধ। বিভিন্ন সম্মেলনে অর্থ দেওয়া, ধর্মস্থানগুলি সাজিয়ে তোলা ইত্যাদিতে বরাবরই এগিয়ে ভারত। এই মতও রয়েছে যে, বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে ভারত এবং চিনের ‘মল্লযুদ্ধ’ একটি ভিন্ন ঠান্ডা যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে, যার সঙ্গে বাণিজ্যিক স্বার্থও জড়িত। এই অবস্থায় এ দিন টিকাকরণের ব্যাপারে ভারতের উদ্যোগ ও আগ্রহকে সে দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement