প্রতীকী ছবি।
বিশ্বের সামনে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক বিপণনের কাজটি আগামিকাল শুরু করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
এক মাস আগে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকা এবং সম্ভাব্য টিকা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। আগামিকাল হায়দরাবাদে টিকা গবেষণাকেন্দ্র ভারত বায়োটেক এবং বায়োলজিকাল ই— সংস্থা দু’টিতে নিয়ে যাওয়া হবে ৬০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, টিকা উৎপাদন ও গবেষণাকন্দ্রে এই ধরনের সফরের এটি সূচনা। অদূর ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শহরেও যাবেন রাষ্ট্রদূতেরা। মন্ত্রকের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরের লড়াইয়ে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছি। ভারতের টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম টিকা নির্মাতা দেশ ভারত। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন ভারতে তৈরি প্রতিষেধক বিশ্ববাসীর লড়াইয়ে কাজে আসবে।”
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ নামল সাড়ে ২৬ হাজারে, সংক্রমণের হারও কমে ২.৫৯ শতাংশ
আরও পড়ুন: শীঘ্রই অনুমোদন পাবে কোভিড টিকা, আশায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, প্রস্তুত পরিকাঠামো
একক প্রচেষ্টায় বিপুল পরিমাণ প্রতিষেধক উৎপাদন যে অত্যন্ত কঠিন— এটা বুঝেই যৌথ উদ্যোগের কথা মাথায় রাখছে কেন্দ্র। যে সব দেশগুলি ভারতের সঙ্গে যৌথ ভাবে টিকা উৎপাদনে অংশ নিতে চায়, তাদের জন্য বার্তাও দেওয়া হয়েছে। এক কথায়, করোনা অতিমারির কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রতিষেধকের বাজার ধরতে এ বার উদ্যোগী মোদী সরকার। অন্য দেশ থেকে টিকা কেনার ব্যাপারেও কেন্দ্র যে ভাবনাচিন্তা করছে, তা-ও ভাগ করে নেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে। এ বার হাতেকলমে গবেষণাকেন্দ্রগুলিতে ঘুরে টিকা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করতে পারলে, তাঁরা তাঁদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিজের দেশকে জানাতে পারবেন।
সরকারি সূত্রের মতে, ভারতের প্রতিষেধকগুলি পরীক্ষামূলক প্রয়োগের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা বাজারে আসতে চলেছে। তা দেখানোর জন্যই রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে যাওয়া। লক্ষ্য এটাও যে মডার্না বা ফাইজ়ারের টিকাগুলির তুলনায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতীয় টিকা যে সস্তা সেই বিষয়টিও বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।