Coronavirus

শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি নয়

রাজ্যে মৃত প্রথম করোনা-রোগীর শেষকৃত্য ঘিরে নিমতলা শ্মশানে গোলমাল হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৪:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা সংক্রমণে মৃতের অন্ত্যেষ্টিতেও নিয়ন্ত্রণ আনল কেন্দ্র। শেষকৃত্যে একসঙ্গে যাতে ২০ জনের বেশি মানুষ সমবেত না-হন, সব রাজ্যকে তা নিশ্চিত করতে বলেছে তারা।

Advertisement

ওই প্রাণঘাতী ভাইরাসের হামলা ঠেকাতে ভিড় এড়ানো জরুরি বলে জানিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য। বাংলায় মহামারি রোগ আইন বলবৎ হওয়ায় একসঙ্গে সাত জনের বেশি লোকের জমায়েতে নিষিদ্ধ। লকডাউন চলছে দেশ জুড়ে। বিধি ভাঙলে আইনি পদক্ষেপের কথা জানিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে সরকার। রাস্তায় একসঙ্গে বেশি মানুষকে দেখলেই কড়া হাতে মোকাবিলা করছে পুলিশ। কিন্তু শেষকৃত্যে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-পড়শির যোগদান স্বতঃস্ফূর্ত, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতরও। তাই অন্ত্যেষ্টির জমায়েতে সর্বাধিক ২০ জন যোগ দিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

রাজ্যে মৃত প্রথম করোনা-রোগীর শেষকৃত্য ঘিরে নিমতলা শ্মশানে গোলমাল হয়েছিল। মৃতের পরিবারকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। অনেকেই ওই শ্মশানে শেষকৃত্যের ব্যাপারে আপত্তি তুলেছিলেন। শেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

Advertisement

তৃতীয় ‘ফেজ়’ থেকে করোনার দাপট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। ‘কমিউনিটি স্প্রেডিং’-এর আশঙ্কাও রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তবে প্রশাসনের অনেকেরই বক্তব্য, জমায়েত করা যে উচিত নয়, সেই বিষয়ে ধীরে ধীরে সচেতন হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ। কেউ সরকারি নির্দেশ না-মানলে পুলিশে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী। এই অবস্থায় কোনও ধরনের সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই শেষকৃত্যের জমায়েত নিয়ে কেন্দ্রকে পৃথক ভাবে নির্দেশ দিতে হল বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement