গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ। (গ্রাফিক আপডেট হচ্ছে)
বেড়েই চলেছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার বিকেলে দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজারে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে নোভেল করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার জন। এই সময়ের মধ্যে মৃতের সংখ্যাও পার করেছে ৫০-এর ঘর। দেশ জুড়ে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার নির্দেশিকা সত্ত্বেও রাশ টানা যাচ্ছে না সংক্রমিতের সংখ্যায়। শনিবার সকালেই দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছিল সাড়ে ২৪ হাজারের গণ্ডি। এ দিন বিকেলে তা প্রায় ২৫ হাজার ছুঁইছুঁই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৯৪২। তবে এর মধ্য়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজার ২০৯ জন। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৯০। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জন সংক্রমিতের। সেই সঙ্গে দেশ জুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যানে এই বৃদ্ধির পরও দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের দাবি, “লকডাউনে পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলায় করোনার সংক্রমণ স্টেজ থ্রি বা গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে যেতে পারেনি।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবি সত্ত্বেও মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে সংক্রমিতের পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্রে এ দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৬ হাজার ৮১৭। ওই রাজ্যে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩০১ জন কোভিড-১৯ রোগীর। মহারাষ্ট্রের মতো গুজরাতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। গুজরাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮১৫। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের উপর। অন্য দিকে, রাজস্থানে তা ২ হাজারের উপরে গিয়ে ঠেকেছে। মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ হাজারের কাছাকাছি।
(গ্রাফিক আপডেট হচ্ছে)
দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের করোনা-সংক্রমণের সংখ্যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন মুম্বইতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৮৯। মুম্বইয়ের মতোই আর এক মেট্রোপলিটন শহর বেঙ্গালুরুর পরিসংখ্যানেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের কপালে। কর্নাটকে মোট আক্রান্তের (৪৭৪) মধ্যে শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুতেই ১২৯ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৮ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে মৃত বেড়ে ১৮, ‘কো-মর্বিডিটিতে’ আরও ৩৯
আরও পড়ুন: মন ভাল রাখুন, মোদীর শ্রমিক-দাওয়াইয়ে বিতর্ক
করোনা-সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্তের আবহেই দেশ জুড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের পড়াশোনা, দেরি করে চালু করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র গঠিত সাত সদস্যের একটি কমিটি ২০২০-’২১ সালের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার বা শিক্ষা-নির্ঘণ্ট জুলাইয়ের পরিবর্তে দু’মাস পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)