এই ভেন্টিলেটরই তৈরি করেছে মহিন্দ্রা। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
দেশে করোনার প্রকোপ সামাল দিতে এ বার ভেন্টিলেটর তৈরি করল গাড়ি নির্মাণ সংস্থা মহিন্দ্রা। সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা মিলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই ভেন্টিলেটরের ডিজাইন তৈরি করেন। সেটি এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রের অনুমোদন মিললেই, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা পাঠানো হবে। তবে বিদেশ বিভুঁই থেকে আসা ভেন্টিলেটর কিনতে যেখানে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়, ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভেন্টিলেটর সাড়ে ৭ হাজার টাকাতেই পাওয়া যাবে।
গত ২৬ মার্চ তাঁদের এই নয়া উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন সংস্থার চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা, যার পর সোমবারই তাঁদের তৈরি ভেন্টিলেটরের একটি প্রোটোটাইপের ভিডিয়ো সামনে আনেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ পবনকুমার গোয়েঙ্কা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘মহিন্দ্রার কর্মীরা মিলে সাশ্রয়ী শ্বাসযন্ত্র প্রযুক্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনে ফেলেছেন। তার একটা মডেলের ভিডিয়ো নিয়ে এলাম। প্যাকেজিং এখনও বাকি। পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। কী নাম রাখা যায়, তা ভাবছি। খুব শীঘ্র সরকারি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে এটি।’’
তবে অন্য ভেন্টিলেটরের তুলনায় এই ভেন্টিলেটর অনেক বেশি স্বয়ংক্রিয় বলে জানানো হয়েছে, যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই ভেন্টিলেটরটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রোগীর সংস্পর্শে এসে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে সংক্রমিত না হন, তার জন্যই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি কোনও কারণে ভেন্টিলেটর যদি বন্ধ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে অ্যালার্মের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এই ভিডিয়োই প্রকাশ করেছেন পবন গোয়েঙ্কা।
আরও পড়ুন: নিজামউদ্দিনে সেই জমায়েতে ছিলেন এ রাজ্যেরও বহু মানুষ, চলছে খোঁজ
আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যে মেটিয়াবুরুজে পুলিশের গাড়ি তাড়া করে জনতার ইঁটবৃষ্টি, এই ভিডিও কি সত্যি?
শুধুমাত্র ভেন্টিলেটরই নয়, করোনা আক্রান্তদের সেবায় নিযুক্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ ‘ফেশ শিল্ড’ও তৈরি করছে মহিন্দ্রা। তাতে পাতলা প্লাস্টিকের আবরণে স্বাস্থ্যকর্মীদের গোটা মুখ ঢাকা থাকবে।