—ফাইল চিত্র।
জলের মধ্যে নিভৃতবাসের জন্য জুড়ি নেই হাউসবোটের। নিভৃতবাসের সেই বন্দোবস্তই কাজে লাগাতে চাইছে কেরল। তবে স্বাভাবিক সময়ে পর্যটকেরা হাউসবোট বেছে নেন নিরালায় সময় কাটানোর জন্য। এখন অস্বাভাবিক সময়ে সেটাই বদলে যেতে পারে রোগ মোকাবিলার আইসোলেশন ওয়ার্ডে!
করোনা-যুদ্ধে শামিল হয়ে ট্রেনের কামরাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বদলে নিয়েছে রেল। একই উদ্দেশ্যে হাউসবোট মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা এগিয়েছে কেরল রাজ্য সরকারের। প্রয়োজনে হাউসবোটকে করোনায় চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে রেখেছেন মালিকেরা। তবে সরকার জানিয়েছে, পরিস্থিতি সাপেক্ষে তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কেরলের আলপ্পুঝা জেলার ব্যাকওয়াটারে হাউসবোট দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। লাগোয়া বাথ-সহ হাউসবোটগুলি এক একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইউনিট। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরে কেরলে পর্যটনের ব্যবসা এখন শিকেয়। ব্যাকওয়াটারের জেটিতে সার দিয়ে বাঁধা পড়ে রয়েছে হাউসবোট। এমতাবস্থায় রোগ মোকাবিলার কাজে ওই ধরনের ‘জল-বাড়িকে’ ব্যবহার করতে আপত্তি নেই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদেরও।
আরও পড়ুন: রিপোর্ট না পেলেও জোর লালারস পরীক্ষাতেই
আরও পড়ুন: সংক্রমণ বনাম জীবিকা: আজ থেকে লকডাউনের তৃতীয় দফায় দেশ
রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী কোডামপল্লি সুরেন্দ্রনের কথায়, ‘‘আলপ্পুঝা জেলায় হাসপাতালের চেয়ে হোটেল ও রিসর্টের সংখ্যা অনেক বেশি। যদিও আমাদের রাজ্যে করোনা আক্রমণের রেখাচিত্র এখন অনেকটা সমান হয়েছে, তবু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। জেলা প্রশাসন হোটেল, রিসর্ট, লজ মিলিয়ে ৬ হাজারের কাছাকাছি আইসোলেশন বেড চিহ্নিত করে রেখেছে। হাউসবোট প্রয়োজনে এই কাজে ব্যবহার করলে আরও ১৫০০ থেকে দু’হাজার বেড যোগ হবে।’’
হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে বলা হচ্ছে, গত দু’বার কেরলে ভয়াবহ বন্যার সময়ে তারা দুর্গত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল। কুট্টানাড অঞ্চলে আটকে পড়া হাজার পঁচিশ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছিল হাউসবোট পাঠিয়েই। এ বার বিপন্ন রাজ্যে সহায়তা দেওয়া যাবে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করে। তবে প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও বিস্তর উদ্বেগে আছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদেরই এক
জন সুনীল ফিলিপ বলছেন, ‘‘হাউসবোট মালিক ও কর্মচারীরা আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এখন করোনায় তাঁদের কোনও আয় নেই। বিশেষ করে, বিদেশি পর্যটকদের কাছে হাউসবোট খুবই আকর্ষক। আবার কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কবে পর্যটক আসবেন, কে বলতে পারে!’’
সেবায় এগিয়ে এলেও জীবিকার টান লেগেছে ব্যাকওয়াটারে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)