ছবি এএফপি।
করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় ব্যবহার হোক গঙ্গাজল! এমন প্রস্তাব কেন্দ্রকে দিয়েছিল গঙ্গা সাফাই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জলশক্তি মন্ত্রক ঘুরে ওই প্রস্তাব আসা মাত্র তা খারিজ করে দিয়েছেন আইসিএমআর-এর কর্তারা। ভারতে করোনা চিকিৎসা কোন পথে হবে তার ঠিক করার দায়িত্বে রয়েছে ওই সংস্থাই।
গত চল্লিশ দিনের লকডাউনে বন্ধ কলকারখানা। ফলে দূষণ কমেছে গঙ্গায়। বেড়েছে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণও। গঙ্গায় ফের ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে শুশুকদের। এমনকি হরিদ্বার-ঋষিকেশ এলাকায় গঙ্গার জল সামান্য শোধন করে নিলে তা পান করার যোগ্য বলেও কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হয়েছে। এ বার করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ওই জল ব্যবহার করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলে চমকে দিয়েছে অতুল্য গঙ্গা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মূলত প্রাক্তন সেনা ও সেনাকর্তাদের নিয়ে গঠিত ওই সংগঠনটি গঙ্গা পরিক্রমণের মাধ্যমে নদীকে স্বচ্ছ রাখার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে সক্রিয়।
গত মাসে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখে করোনা চিকিৎসায় গঙ্গাজল ব্যবহারে কোনও লাভ হচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার অনুরোধ করা হয়। যুক্তিতে বলা হয়, গঙ্গাজলে নিনজা ভাইরাস থাকে। যা এক ধাঁচের ব্যাকটেরিওফাজ। সংগঠনের দাবি, সেটা করোনাভাইরাসকে মারতে সক্ষম। বিষয়টি জানিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে। তারা ওই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেয় জলশক্তি মন্ত্রকে। জলশক্তি মন্ত্রকের ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা শাখার পক্ষ থেকে ওই প্রস্তাব পরবর্তী ধাপে বিচার করার জন্য পাঠানো হয় আইসিএমআরের কাছে।
আরও পড়ুন: জুন-জুলাইয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে করোনা পরিস্থিতি, আশঙ্কা এমস ডিরেক্টরের
আইসিএমআর অবশ্য প্রস্তাবটি খারিজ করেছে। সংস্থার গবেষণা প্রস্তাব পর্যালোচনা কমিটির প্রধান ওয়াই কে গুপ্ত জানান, ‘‘এই মুহূর্তে গঙ্গাজলকে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করার মতো তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে এখন ভাবা হচ্ছে না।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)