Coronavirus in India

গার্গলের জল থেকে সায় নমুনা সংগ্রহে

গার্গল পদ্ধতিটি কতটা কার্যকরী তা নিয়ে গত মে-জুন মাসে ৫০ জন করোনা সংক্রমিত রোগীর উপরে পরীক্ষা চালায় এমস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৩:১৫
Share:

ছবি: এএফপি।

করোনা রোগী নাক থেকে পাওয়া দেহরসের নমুনার চেয়ে ওই রোগী গার্গল করার পরে সেই জল থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা অপেক্ষাকৃত সহজ ও কম ঝুঁকির— এই সিদ্ধান্তে এল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। এই ব্যবস্থায় অনেক কম ঝুঁকি নিয়ে ও অনেক কম খরচে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব বলে মনে করছে সংস্থাটি।

Advertisement

গার্গল পদ্ধতিটি কতটা কার্যকরী তা নিয়ে গত মে-জুন মাসে ৫০ জন করোনা সংক্রমিত রোগীর উপরে পরীক্ষা চালায় এমস। তাতে দেখা গিয়েছে রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণের মৃদু উপসর্গ থাকলেও গার্গল করা জলে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। তা ছাড়া সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নাক থেকে দেহরস নেওয়ার সময়ে অস্বস্তিত পড়ে থাকেন ৭০ শতাংশ ব্যক্তি। সমস্যা হয় কর্মীদেরও। নাক থেকে নমুনা নেওয়ার সময়ে বাতাসের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ভয় থাকে। ফলে এটা গোড়া থেকেই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এবং অধিকাংশ কর্মী এই কাজ করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়ে থাকেন বলে মত আইসিএমআর কর্তাদের।

তুলনায় গার্গলের জলের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ অনেক নিরাপদ বলে মনে করা হয়েছে ওই পরীক্ষায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তি গার্গল করা জলের নমুনা নিজেই পরীক্ষাগারে গিয়ে দিয়ে আসতে পারেন। পরীক্ষাগারের লোকেরাও তা এসে নিয়ে যেতে পারেন। এতে রোগী ও নমুনা সংগ্রহকারী কর্মীর সরাসরি সংযোগের কোনও ঝুঁকি থাকে না। তা ছাড়া নাকের মাধ্যমে দেহরস নেওয়ার জন্য কর্মীদের আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে গুরুতর অসুস্থ বা অশক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বা শিশুদের ক্ষেত্রে গার্গল করে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নাক থেকেই নমুনা সংগ্রহ করার পক্ষে সওয়াল করেছে আইসিএমআর।

Advertisement

আরও পড়ুন: পদ নিয়ে এখনও আগ্রহী নন রাহুল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement