সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে আমদাবাদে করোনা-পরীক্ষার জন্য সরকারি অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। ছবি: এএফপি।
গুজরাতের বিজেপি সরকারের করোনা মোকাবিলার কড়া সমালোচনা করেছিলেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি পরদীবালা ও বিচারপতি ইলেশ জে ভোরা। আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালকে ‘অন্ধকূপ’ বলেছিলেন। তার পরেই পাল্টে গেল বেঞ্চের গঠন।
কাল সুপ্রিম কোর্টে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মামলায় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মন্তব্য করেন, কিছু হাইকোর্ট সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে। আর গুজরাতের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথ নির্দেশ দেন, নতুন ভাবে ওই বেঞ্চ গঠন হবে। বিচারপতি পরদীবালা তাঁর সঙ্গে বেঞ্চে বসবেন। বিচারপতি ভোরা বসবেন বিচারপতি আর এম ছায়ার সঙ্গে।
আমদাবাদে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ও হাসপাতালের দুরবস্থা নিয়ে বিচারপতি পরদীবালা ও বিচারপতি ভোরার বেঞ্চ রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিতিন পটেলের কড়া সমালোচনা করেছিল। গত কাল সুপ্রিম কোর্টে সরকারের সমালোচকদের ‘হতাশার দূত’ আখ্যা দেন সলিসিটর জেনারেল। কংগ্রেস মনে করাচ্ছে, দিল্লির হিংসায় উস্কানির জন্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়ার পরেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বাকে আবাসনে ঢুকতে বাধা, মৃত সন্তান প্রসব
আরও পড়ুন: বাংলায় খুলছে অফিস-ধর্মস্থান, কী পরিকল্পনা অন্য রাজ্যগুলোর
বেঞ্চে বদলের পরেও অবশ্য স্বস্তি মেলেনি। সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে আমদাবাদে করোনা-পরীক্ষার জন্য সরকারি অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল। আজ প্রধান বিচারপতি নাথ ও বিচারপতি পরদীবালার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সরকারি অনুমতির প্রয়োজন নেই।