Coronavirus in India

অতিমারিতে কী ভাবে হবে ভোট? ৩ দিনের মধ্যেই গাইডলাইন নির্বাচন কমিশনের

অতিমারির জেরে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে। দেশ জুড়ে দফায় দফায় আনলক-পর্ব চালু হলেও এখনও ওই সব রাজ্যে নতুন করে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত করা হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ২০:২০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

করোনা-পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আগামী তিন দিনের মধ্যেই একটি সবিস্তার নির্দেশিকা বা গাইডলাইন প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

অতিমারির সময় বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন করা নিয়ে এ দিন কমিশনে একটি বৈঠক হয়। তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তথা রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের মতামত ও পরামর্শ বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ দিনের বিবৃতিতে কমিশন আরও জানিয়েছে, সব পক্ষের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে আলোচনার পর ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হবে।

কমিশনের নির্দেশ, অতিমারির সময় নির্বাচন বা উপ-নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত সংশ্লিষ্ট মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের। একই সঙ্গে ভোটের সময় স্থানীয় পরিস্থিতির কথাও মাথায় রাখা উচিত তাঁদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে সরকারি চাকরি পাবে কেবলমাত্র স্থানীয়রাই, ঘোষণা শিবরাজের

আরও পড়ুন: ঘৃণা-ভাষণ: তদন্ত চেয়ে জ়াকারবার্গকে চিঠি কংগ্রেসের, আঁখির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

অতিমারির জেরে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে। দেশ জুড়ে দফায় দফায় আনলক-পর্ব চালু হলেও এখনও ওই সব রাজ্যে নতুন করে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত করা হয়নি। এই আবহে আগামী ২৯ নভেম্বর বিহার বিধানসভার কার্যকাল শেষ হচ্ছে। অতিমারির জন্য বিহারে ভোট পিছনোর সম্ভাবনা থাকলেও অনেকেই মনে করছেন, আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহারে ভোট হতে পারে। তবে সে সময় ভোট হলেও, কী ভাবে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে তা করা হবে, সে নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করছে কমিশন। বিহারে ইতিমধ্যেই অনলাইনে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। যদিও তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে আরজেডি এবং সিপিএমের মতো দলগুলি। জুলাইতে বিহারের ন’টি বিরোধী দল কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে দাবি করে, একটিমাত্র দলের অনলাইন প্রচারের ফলে ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে সব দিক বিবেচনা করে ওই রাজ্যে ভোট করানোর জন্য গত মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত তথা পরামর্শ চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। যাতে অতিমারির সময় নির্বাচন হলে প্রার্থী তথা রাজনৈতিক দলগুলি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠু ভাবে প্রচারের কাজ করতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘পিএম কেয়ার্স’-এর অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট

তবে কি আসন্ন গাইডলাইনে ভোটারদের কাছে গিয়ে প্রচারের পাশাপাশি অনলাইনেও ভোটাভিযান করার অনুমতি দেওয়া হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে? এর উত্তরে কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, গাইডলাইন তৈরির সময় সব বিষয়ই বিবেচনা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement