প্রতীকী ছবি। —শাটারস্টক
এক দিনে দেশে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সোমবার। প্রতি দিনই সংখ্যাটা বাড়ছে। কিন্তু তার মধ্যেই কেন্দ্রের দাবি, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার নিরিখে সংক্রমণ কমছে। কারণ, লকডাউনের আগে যেখানে সারা দেশে গড়ে ৩.৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাত দিনে। অর্থাৎ ৭.৫ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা।
টানা লকডাউনের জেরে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণে যে অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছে, এই দাবি আগেও করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এ দিন সেই দাবির পক্ষেই পরিসংখ্যান দিয়ে তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করল তারা। মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল রুটিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘‘গত সাত দিনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, আগে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩.৪ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল, এখন সেটাই হচ্ছে ৭.৫ দিনে।’’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৫৬। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৫৯ জনের। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই মৃতের সংখ্যা ৪০। যদিও লব আগরওয়ালের দাবি, অনেকগুলি রাজ্য খুব ভাল কাজ করেছে। সারা দেশে আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার হারের চেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে ১৮টি রাজ্য। তার মধ্যে আবার কিছু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ২০ দিনেরও বেশি সময়ে।
আরও পড়ুন: সঙ্গত কারণ না দেখিয়ে রাজ্যে কেন কেন্দ্রীয় দল? প্রশ্ন তুললেন মমতা
লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জাতীয় গড়ের উপরে অর্থাৎ ৭.৫ দিনের বেশি সময়ে কিন্তু ২০ দিনের কম সময়ে আক্রান্ত দ্বিগুণ হচ্ছে, এমন রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লি, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহারের মতো রাজ্য। আবার ২০ দিনেরও বেশি সময়ে দ্বিগুণ হওয়ার তালিকায় রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, অসম, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
তবে এর বাইরে বাকি রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের হার বেশি। অর্থাৎ আক্রান্তের দ্বিগুণ হওয়ার সময় জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। তবে সেই রাজ্যগুলির মধ্যে কোন রাজ্যে দ্বিগুণ হওয়ার হার কেমন, সেই তথ্য এ দিন দেয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯-এর দিনগুলোতে জীবন যে রকম, লিখলেন নরেন্দ্র মোদী
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কত দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে, সেই তথ্য থেকে সংক্রমণের হার বোঝা যায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সেই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রতিরোধী ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ভারতও সেই পথে মোকাবিলার পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা নিচ্ছে।