প্রতীকী ছবি।
বুধবার গুয়াহাটি বিমানবন্দরে শুধু র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাতেই ৬২ জন কোভিড আক্রান্ত যাত্রীর সন্ধান মিলেছে। ডিব্রুগড় বিমানবন্দরে আসা কোভিড পজ়িটিভ যাত্রীদের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে ডাবল মিউট্যান্ট কোভিডের বি.১.৬১৭ স্ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা অসমমুখী সব যাত্রীকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে বিমানে ওঠার আহ্বান জানালেন। আজ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল করোনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “এ বারের করোনা আরও ভয়াবহ, তা মানুষকে বুঝতে হবে।” হিমন্ত বলেন, “লকডাউনের কথা বিবেচনা করা হয়নি। ভারত বায়োটেক থেকে ১ কোটি ও সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১ কোটি প্রতিষেধক আনা হবে। খরচ ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা।”
কাল শিলচর বিমানবন্দরে ৬টি বিমান থেকে ৬৯০ জন যাত্রী অবতরণ করেন৷ পরীক্ষা করান ১৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন পজ়িটিভ হন। বাকিরা পরীক্ষায় আপত্তি জানান। টিকল হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে বাসে সেখানে আনা-নেওয়ারও ব্যবস্থা সরকারের তরফেই করা হয়েছে৷ অনেক যাত্রী বাসে ওঠেননি৷ হাসপাতালে গিয়েও পরীক্ষার জন্য ৫০০ টাকা দিতে অনেকে রাজি হননি। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাধা অগ্রাহ্য করে তিন শতাধিক যাত্রী বিমানবন্দর ছেড়ে চলে যান। কাছাড়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সাত্তায়ান জানান, সবাইকে ধরে আনা হবে। বিমান সংস্থাগুলির কাছ থেকে নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হচ্ছে। সকলের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৮০ ধারায় মামলা দায়ের করা হবে। আজ অবশ্য জেলা প্রশাসন সতর্ক থাকায় কোনও যাত্রী পরীক্ষা না করে ছাড়া পাননি।
কড়া পদক্ষেপ করেছে উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যগুলিও। মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টন টিংসং জানান, রাজ্যে আসা সকলকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। খুব প্রয়োজন না থাকলে বাইরে থেকে রাজ্যে না আসাই ভাল। নাগাল্যান্ডে ২৩ এপ্রিল থেকে চালু হচ্ছে নৈশ কার্ফু।