গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৮ হাজার ৫১২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
মোট আক্রান্তের নিরিখে ইতিমধ্যেই বিশ্বে প্রথম তিনে ঢুকে পড়েছে। আজ মোট মৃত্যুর নিরিখেও মেক্সিকোকে (৬৪,১৫৮) অতিক্রম করে বিশ্বে প্রথম তিনে ঢুকে পড়ল ভারত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৬৪,৪৬৯। আক্রান্তের তালিকার মতো মৃত্যুর ক্ষেত্রেও আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরে রয়েছে ভারত।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে কালই বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল ভারত (৭৮,৭৬১)। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮,৫১২। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ওয়র্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৩৬ লক্ষ পেরিয়েছিল গত কালই। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবেও তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লক্ষেরও বেশি। দ্রুত সংক্রমণের নিরিখে ভারত হয়ে উঠেছে করোনার নয়া ভরকেন্দ্র। উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ় ও ওড়িশায় সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই চার রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এ দিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জারোয়াদের সংক্রমণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় তফসিলি জনজাতি কমিশন। এই ঘটনায় প্রশাসনকে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
তবে গত আট দিনে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে সুস্থতার হার ৭৬.৬২%। ইতিমধ্যে ৪.২৩ কোটি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয়েছে সাড়ে আট লক্ষ মানুষের। আজ আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা বার্নস্টেনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারেই ভারতীয় বাজারে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের দাবি, চলতি বছর দীপাবলির মধ্যেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে। দেশে বর্তমানে ১০ লক্ষেরও বেশি করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে দেশে মাত্র একটি ল্যাবরেটরি ছিল। সেই সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ১৫৮৩টিরও বেশি পরীক্ষাগার রয়েছে দেশে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরিতে নেমেছে সাত-আটটি সংস্থা। তার মধ্যে তিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। পাঁচ লক্ষ পিপিই তৈরি করা হয়েছে। ১০টি সংস্থা এন৯৫ মাস্ক তৈরি করছে। ফলে করোনা প্রতিরোধী সরঞ্জামের ঘাটতি নেই বলেও দাবি হর্ষের। আজ তিনি কর্নাটকে বেল্লারিতে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।