প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে করোনার দাপট অব্যাহত। দৈনিক ৫০ হাজারের বেশি মানুষ যেমন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ হাজার ৫৮৪ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থও হয়েছেন। ফলে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৪২ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
করোনার প্রতিষেধক তৈরি হলেই ন্যূনতম সময়ের মধ্যে দেশবাসীর কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কবে সেই প্রতিষেধক বাজারে আসবে তার উত্তর অবশ্য এখনও অজানা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ভারত এখন করোনা টিকা পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে রয়েছে, গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে অন্তত আরও এক বছর লাগবে। আজ প্রতিষেধক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি ভারত বায়োটেক, সিরাম ইনস্টিটিউট-সহ পাঁচটি টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিষেধক পরীক্ষার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
গত শনিবারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে বলা হয়েছিল, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ লক্ষ ৮ হাজার ৯৩৬ জন। আজকের তথ্য বলছে, দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ১৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৪২। অর্থাৎ দু’দিনে ১ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি মানুষ করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের ৭২.৫১ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যা নিঃসন্দেহেই স্বস্তিদায়ক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ হাজার ৯৮১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে প্রায় সমসংখ্যক করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত মামলায় ৩ প্রশ্নে হবে সওয়াল
সুস্থতার হার বাড়লেও, করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু অব্যাহত। দেশে এখনও পর্যন্ত ২৬ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। প্রতিষেধকের ব্যাপারে সৌম্যা বলেছেন, ‘‘বর্তমানে ভারতে বিভিন্ন সংস্থা ৮টি করোনা টিকা তৈরি করছে। সাধারণত একটি প্রতিষেধক তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগে। তবে অতিমারির কারণে এখন তো অন্তত দেড় বছর লাগবেই। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর নেই।’’ তাঁর পরামর্শ, আগামী ১ বছর মাস্ক পরতে হবে এবং পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। তা হলেই করোনা সংক্রমণ রোখা সম্ভব। সৌম্যা জানিয়েছেন, সংক্রমিতের সংখ্যা কমানোই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। তবে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরা ফের সংক্রমিত হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লির কয়েকটি হাসপাতাল জানিয়েছে, ফের আক্রান্ত হয়ে র্তির ঘটনা বাড়ছে। দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালের অধিকর্তা বি এল শেরওয়ালের মতে, যত ক্ষণ না ভাইরাসের জিনগত চরিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত বলা কঠিন যে ওই ভাইরাসের কারণেই একই ব্যক্তি দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হচ্ছেন, নাকি ওই ভাইরাসই চরিত্র বদল করে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
দেশে আক্রান্ত
সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার্স
২৭,০১,৬০৪
সোমবারের করোনা বুলেটিন।
সূত্র: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক
২৫,৮৯,৬৮২
মৃত ৫০,৯২১
সুস্থ ১৯,১৯,৮৪২
অ্যাক্টিভ রোগী
৬,৭৬,৯০০
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৭,৯৮১
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৫৭,৫৮৪
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯৪১
সূত্র: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক