Coronavirus in India

চার মাসে দৈনিক সংক্রমণ সর্বনিম্ন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে দৈনিক নতুন করে কোভিড-আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনই কমেছে প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যাও। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও নিম্নমুখী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০২:১১
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ সপ্তাহখানেক ধরে পঁয়তাল্লিশ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। এ বার তা নেমে এসেছে ৩০ হাজারে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে দৈনিক নতুন করে কোভিড-আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনই কমেছে প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যাও। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও নিম্নমুখী। এটাই দেশের সর্বশেষ কোভিড-চিত্র।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৪৮ জন। গত চার মাসে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

এটাই সর্বনিম্ন। শেষ বার দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে নেমেছিল গত ১৪ জুলাই। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ৪৩৫ জনের। যার ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭০ জন করোনা-আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন। সুস্থতার সংখ্যাও যথেষ্টই স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগী কমেছে ১৩ হাজার ৭৩৮ জন।

আরও পড়ুন: লকডাউনে রাজি নন কেজরীবাল

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমার পাশাপাশি, প্রতিষেধক পরীক্ষার কাজও চলছে জোরকদমে। ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এলা আজ জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি করোনা টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হবে। গত মাসে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা সফল হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আরও একটি টিকা পরীক্ষা করছি, যা কিনা নাকে ড্রপের মাধ্যমে দেওয়া যাবে। আশা করি, আগামী বছরের মধ্যেই ওই টিকা বাজারে আনতে পারব।’’

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

আগামী সপ্তাহে রুশ করোনা টিকা ‘স্পুটনিক-ভি’র প্রথম ব্যাচের ভারতে পৌঁছনোর কথা। কানপুরের গণেশ বিদ্যার্থী মেডিক্যাল কলেজে মানবদেহে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হবে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আর বি কমল গত কাল জানিয়েছেন, এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আপাতত ১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবী নাম লিখিয়েছেন। প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীকে প্রথমে একটি করে ডোজ় দেওয়া হবে। তাঁদের শরীরে এই প্রতিষেধকের কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা জানার পরেই পরবর্তী ডোজ় দেওয়ার কথা ভাবা হবে।


(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement