গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেশের ১৭টি রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়নি। রবিবার দেশের করোনা সংক্রান্ত বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
দেশ জুড়ে করোনায় সংক্রমিতদের দৈনিক মৃত্যুসংখ্যা নিম্নমুখী হলেও আক্রান্তের পরিসংখ্যান কমবেশি আগের দিনের মতোই রয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় কোভি়ড টেস্ট আগের দিনের থেকে কম হলেও ‘পজিটিভিট রেট’ বা সংক্রমণের হার সামান্য বেড়েছে। অন্য দিকে, সুস্থতার হার নিম্নমুখী।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, কোভিডে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের থেকে কমেছে। শনিবার মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০৩। তবে রবিবারের পরিসংখ্যান জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৯২ জন কোভিড রোগী। এর মধ্যে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। মহারাষ্ট্রের পর দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৫১ হাজারের বেশি ছাড়ালেও দেশের ১৭টি রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় কোনও কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, তেলঙ্গানা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পুদুচেরি, নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুর, সিকিম-সহ ১৭টি রাজ্যে এমনটা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৭৬ জন। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯ লক্ষ ৪ হাজার ৯২২। তবে এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৬ লক্ষ ১১ হাজার ৭৩১ জন। ফলে এই মুহূর্তে দেশে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৬৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার আগের দিনের থেকে সামান্য কমে হয়েছে ৯৭.৩১ শতাংশ। তবে ‘পজিটিভিট রেট’ বা সংক্রমণের হার সামান্য বেড়ে ১.৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও রবিবার আগের দিনের থেকে কম কোভিড টেস্ট হয়েছে। শনিবার ৭ লক্ষ ৪ হাজারেরও বেশি টেস্ট হয়েছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ লক্ষ ৯ হাজারের বেশি টেস্ট হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)