প্রতীকী ছবি।
করোনা-যুদ্ধে সামনের সারির সৈনিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের নিন্দার ঝড় উঠেছে ত্রিপুরায়। শুক্রবার এক সদ্যোজাত শিশু, তাঁর মা ও এক অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা-সহ পাঁচ করোনা আক্রান্তকে আগরতলায় শহিদ ভগৎ সিংহ যুব আবাসের কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করাতে গিয়ে সেখানকার রোগীদের দুর্ব্যবহারের মুখে পড়তে হল চিকিৎসককে। ওই সেন্টারের রোগীরা চিকিৎসককে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে, এমনকি থুতুও দেয়| এই ঘটনায় চিকিৎসকদের সংগঠন সমালোচনায় মুখর হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে এর।
পশ্চিম জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক সঙ্গীতা চক্রবর্তী হাঁপানিয়ার ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ থেকে ওই করোনা আক্রান্তদের নিয়ে গিয়েছিলেন ভর্তি করাতে। তাঁরা যেতেই সেন্টারের রোগীদের একাংশ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। তাদের বক্তব্য, নতুন রোগী ভর্তি হলে, তাদের থাকতে অসুবিধা হবে। এই পাঁচ জনকে অন্যত্র রাখার জায়গা নেই বলে বোঝানো হলে, সেন্টারের রোগীদের কয়েক জন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে| সঙ্গীতার কথায়, “নতুন পাঁচ জনকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতেই সেন্টারের করোনা পজ়িটিভ পুরুষ-মহিলারা আমার উপরে থুতু ছেটাতে থাকে।”
ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। সংগঠনের বক্তব্য, “আমরা ভীষণ ভাবে হতাশ। মনুষ্যত্ব, বিবেক, বোধ এতটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে! মনুষ্যত্বই মরে গেলে করোনা ভাইরাস আর কি মারবে! কাদের বাঁচানোর জন্য এত আয়োজন, এত দিনরাত পরিশ্রম?” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চৌধুরী বলেন, “ত্রিপুরায় চিকিৎসকের স্বল্পতা সত্ত্বেও তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই জারি রেখেছেন। তবে মানুষকে আরও সচেতন করাটা খুবই জরুরি। সরকারি ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলা না-হলেও ত্রিপুরায় সংক্রমণের প্রাথমিক স্তর পার হয়ে গিয়েছে।