Coronavirus in India

রেকর্ড গড়ে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬৭৬৭, দেশে সংক্রমিত ১ লক্ষ ৩২ হাজার

এই নিয়ে টানা তিন দিন ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি করোনা-সংক্রমণ ঘটল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ১০:৫৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

লকডাউনের ‘প্রতিষেধকে’ও রোখা যাচ্ছে না দেশে করোনার সংক্রমণ। প্রতি দিনই নতুন রেকর্ড গড়ে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। ঠেকানো যাচ্ছে না করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুও।

Advertisement

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে করোনার শিকার হয়েছেন ৬ হাজার ৭৬৭ জন। যা এখনও পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যা সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। সেই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪৭ সংক্রমিতের। দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৭ জন। এই নিয়ে টানা তিন দিন ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি সংক্রমণ ঘটল। গোটা দেশে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৬৮। তবে এই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আশা জাগাচ্ছে আক্রান্তদের সেরে ওঠার খবর। করোনার সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৪ হাজার ৪৪০ জন।

করোনায় আক্রান্তের পরিসংখ্যানের নিরিখে গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক অবস্থা মহারাষ্ট্রে। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে ৪৭ হাজার ১৯০ জন আক্রান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ জনের।

Advertisement

লেখচিত্র ১

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আরও পড়ুন: ধৈর্য ধরুন, এখন ক্ষুদ্র রাজনীতির সময় নয়: মমতা

মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, গুজরাত, দিল্লি বা রাজস্থানের করোনা-পরিস্থিতিও স্বস্তিদায়ক নয়। তামিলনাড়ুতে সাড়ে ১৫ হাজারের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাত (১৩,৬৬৪) বা দিল্লি (১২,৯১০)-এর পরিসংখ্যানও যথেষ্টও উদ্বেগজনক। ওই দুই রাজ্যের তুলনায় রাজস্থানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জনের মধ্যে সংক্রমণের উপসর্গ মিলেছে। রাজস্থানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৪২।

আরও পড়ুন: আমপান: পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার কোটি মঞ্জুর কেন্দ্রের​

দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫৯। মৃত্যু হয়েছে ২৬৯ জনের। যদিও রাজ্য সরকারের হিসেবে করোনাভাইরাসের জেরে মৃতের সংখ্যা ১৯৭। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে।

লেখচিত্র ২

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement