ছবি সংগৃহীত।
দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন তিনেক ধরে ২৯-৩০ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা ২৭ হাজারে নেমে গিয়েছে। কমছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও। এরই মধ্যে করোনা ক্লাস্টার পাওয়া গেল আইআইটি মাদ্রাজ-এ। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ১০৪ জন করোনা সংক্রমিত। চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের জন্য ক্যাম্পাস খোলার পরে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি সামনে আসে।
আইআইটি মাদ্রাজ-এর ক্যাম্পাসে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৭৭৪। গত ১০ দিনে ৬৬ জন পড়ুয়া-সহ ৭১ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন। আজ ৩৩ জনের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ। সূত্রের খবর, সংক্রমিতদের অধিকাংশই ‘কৃষ্ণা’ ও ‘যমুনা’ হস্টেলের বাসিন্দা। এর পরে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন ক্যাম্পাসে বসবাস করা বাকি পড়ুয়াদের করোনা-পরীক্ষা করছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সব বিভাগ ও গবেষণাগারগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। পড়ুয়াদের হস্টেলের ঘরেই কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানান, খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে পড়ুয়াদের ঘরে। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরফে বলা হয়েছে, হস্টেলে বর্তমানে ১০% পড়ুয়া রয়েছেন। যে সব রিসার্চ স্কলারদের ল্যাবের প্রয়োজন, তাঁদের ফিরতে বলা হয়েছে। তবে তাঁদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকতে হচ্ছে এবং পরে করোনা-পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, হস্টেলের একটি মেস চালু ছিল। প্রতিদিন সেখানে ভাল ভিড় হত। সেখানে প্রায় কেউ-ই মাস্ক পরতেন না। ওই মেস থেকে করোনা ছড়িয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব জে রাধাকৃষ্ণণ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ৪৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে আক্রান্তের হার ২০ শতাংশের আশেপাশে।’’ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩,৫২,৫৮৬। ওয়ার্ল্ডোমিটার্স অনুযায়ী আজ দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা পেরোলো ৯৯ লক্ষ।
আমজনতাকে করোনা টিকা দেওয়ার পদ্ধতিগত নির্দেশিকা আজ কেন্দ্রের তরফে জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, টিকা দেওয়ার জন্য পাঁচ জনের এক একটি দল তৈরি হবে। যাঁরা প্রতিষেধক নেবেন, তাঁদের তালিকাভুক্ত ১২টি পরিচয়পত্রের যে কোনও একটি, যেমন ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট বা পেনশন নথি লাগবে।