Coronavirus in India

মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার নিয়ে কংগ্রেসের নিশানায় কেন্দ্র

গত ১ জুলাই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয়, মাস্ক-স্যানিটাইজ়ারকে আর অত্যাবশ্যক পণ্যের তালিকায় রাখার দরকার নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৫:০৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ দিনেই মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার নিয়ে অবস্থান বদলের জন্য কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলল কংগ্রেস। তাদের প্রশ্ন, বহুজাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে বিজেপি সরকারের ‘অশুভ আঁতাঁত’-এর জন্যই মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারকে অত্যাবশ্যক পণ্য তালিকার বাইরে রাখা হল। কেন্দ্র অবশ্য এই অভিযোগ মানছে না।

Advertisement

গত ১৬ জুন কেন্দ্রের অবস্থান ছিল, লকডাউন ওঠার পরে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারের চাহিদা বাড়বে। এ সবের দাম যেন সাধ্যের মধ্যে থাকে, তা নিশ্চিত করতে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারকে চলতি বছরের শেষদিন পর্যন্ত অত্যাবশ্যক পণ্যের তালিকায় রাখা হবে। কিন্তু গত ১ জুলাই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয়, মাস্ক-স্যানিটাইজ়ারকে আর অত্যাবশ্যক পণ্যের তালিকায় রাখার দরকার নেই। কারণ কোনও রাজ্য থেকেই এর দাম বা জোগান নিয়ে অভিযোগ মিলছে না। কেন্দ্রের আচমকা অবস্থান বদলের দিকে আঙুল তুলে আজ কংগ্রেসের প্রশ্ন, এর পিছনে আসল কারণ কি বিজেপি সরকারের সঙ্গে বহুজাতিক সংস্থার ‘অশুভ আঁতাত’?

কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আজ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সঙ্কটের মধ্যে সুযোগ লুকিয়ে থাকে। এখন মাস্ক-স্যানিটাইজ়ার যেমন খুশি দামে বাজারে বেচা যাবে। কারণ সরকার এগুলিকে অত্যাবশ্যক পণ্যের তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আমজনতার খেসারতের বিনিময়ে বিজেপি সরকারের সঙ্গে মুনাফাখোর বহুজাতিক সংস্থার অশুভ আঁতাত এখন স্পষ্ট।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘সংঘর্ষে’ নিহত উত্তরপ্রদেশের বাহুবলী বিকাশ, হুবহু মিলে গেল ‘ভবিষ্যদ্বাণী’

কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের এই অবস্থান বদল নিয়ে সরকারের যুক্তি, মার্চে মাস্ক-স্যানিটাইজ়ার অত্যাবশ্যক পণ্যের তালিকায় আনা হয়েছিল। কারণ, তখন বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান অনেক কম ছিল। ফলে জরুরি ছিল দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। এখন প্রচুর পরিমাণে এ সব তৈরি হচ্ছে। অনেক নতুন সংস্থা স্যানিটাইজ়ার তৈরি করা শুরু করেছে। এন-৯৫ মাস্কের বদলে এখন অনেকে দুই বা তিন স্তরের কাপড়ের মাস্কও ব্যবহার করছেন। ফলে বাজারে এখন এ সবের অভাব বা দাম বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।

কিন্তু কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, অত্যাবশ্যক পণ্যের তালিকায় থাকা জিনিসপত্রের দামে ঊর্ধ্বসীমা বাঁধা থাকে। তা তুলে নিয়ে কেন বিজেপি সরকার মাস্ক-স্যানিটাইজ়ারের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকার সুযোগ করে দিচ্ছে? কেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাঁধা থাকবে না? উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের যুক্তি, নিয়ন্ত্রণ তুলে নিলেও দামের উপর নজরদারি চলবে।

কেন্দ্র জুনের শেষে পিপিই কিট বিদেশে রফতানি করার ক্ষেত্রেও আংশিক ছাড় দিয়েছে। কোনও সংস্থা এখন মাসে ৫০ লক্ষ পিপিই কিট রফতানি করতে পারবে। বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের যুক্তি, বহু দেশ এখন চিনের বদলে অন্য কোনও দেশ থেকে পিপিই কিট আমদানি করতে চাইছে। ফলে দেশের সংস্থাগুলির সামনে নতুন বাজার ধরার সুযোগ রয়েছে। জানুয়ারিতে পিপিই রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। কিন্তু এখন করোনা সংক্রমণ বাড়লেও সরকারের ২.২ কোটি পিপিই-র চাহিদা মিটিয়েও দেশীয় সংস্থাগুলি বাড়তি পিপিই তৈরি করছে। গোটা দেশে এখন দিনে ৭ থেকে ৮ লক্ষ পিপিই তৈরি হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement