Coronavirus in India

ভাল থাকার পথ বলবে কমিটি

করোনায় দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হওয়া একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা বলে দাবি করেছেন ভার্গব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০২:৪৯
Share:

ছবি: এএফপি।

করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরে কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ দল গড়ল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সুস্থ হয়ে-ওঠা করোনা রোগীরা কী নিয়মকানুন মেনে চলবেন, তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই কমিটিকে। কমিটিতে স্বাস্থ্যকর্তারা ছাড়াও এমস-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা রয়েছেন।

Advertisement

চিকিৎসকেরা দেখেছেন, করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের একাংশ ফের আক্রান্ত হচ্ছেন ফুসফুসজনিত বা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায়। কেউ বা রক্তনালীতে রক্ত দলা পাকিয়ে যাওয়ায় স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। সুস্থ হয়ে-ওঠা করোনা রোগীদের পরবর্তী কালে অন্য রোগের শিকার হওয়ার এমন খবর গোটা দেশ থেকেই আসায় নড়চড়ে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়েছে। যাঁরা করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন এবং যাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার পরে শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে— উভয় পক্ষেরই সঙ্গে কথা বলছেন ওই কমিটির সদস্যেরা। যার ভিত্তিতে একটি বিস্তারিত বিধি তৈরি হবে।’’

সম্প্রতি হংকংয়ে এক ব্যক্তি করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পরে ফের নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হন। তাঁর এ বারের সংক্রমণ পুরনো সংক্রমণের রেশ নয়, ভাইরাসের অন্য স্ট্রেনে সংক্রমিত হয়েছেন তিনি। চিন বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে এ ধাঁচের সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেলেও তা মানতে রাজি ছিলেন না ভারতীয় স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে আজ সাংবাদিক বৈঠকে হংকংয়ের ঘটনার কথা মেনে নিয়েছেন তাঁরা। আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গব বলেন, ‘‘হংকংয়ের ঘটনায় খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে, কেন ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হলেন। ভাইরাসের চরিত্রগত পরিবর্তন এর জন্য দায়ী কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বাইরে থেকে এলে যত্নে কোভিড পরীক্ষা অসমে

আরও পড়ুন: বিশ্বের ‘দ্রুততম মানব ক্যালকুলেটর’ হায়দরাবাদের নীলকণ্ঠ

তবে করোনায় দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হওয়া একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা বলে দাবি করেছেন ভার্গব। তিনি জানান, হাম-এর মতো অসুখ অধিকাংশের জীবনে এক বারই হয়ে থাকে। খুব সামান্য কিছু মানুষের তা দ্বিতীয় বার হয়। সেটি যেমন ব্যতিক্রম, করোনার দ্বিতীয় বার সংক্রমণও কার্যত ব্যতিক্রম বলা চলে। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার বয়স মাত্র ছয় থেকে আট মাস। সুতরাং ওই ভাইরাসের চরিত্র সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই জানা বাকি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement