লকডাউনের চেহারা নিয়েছে মুম্বই। ছবি: এএফপি
নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কলকাতা-সহ সারা দেশের ৭৫টি জেলায় ‘লকডাউন’-এর প্রস্তাব দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে রাজ্যগুলি চাইলে লকডাউনের তালিকা বাড়াতে পারবে। পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠকেও এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। আজ রবিবার সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করার পর এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের এই ৭৫টি জেলা থেকে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। সেই কারণেই এই লকডাউনের প্রস্তাব। লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে। তবে লকডাউন হলেও জরুরি পরিষেবা চালু রাখার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের ওই প্রস্তাবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব লব আগরওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ছেন, রবিবার সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঠিক হয়েছে, সব ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। আন্তঃরাজ্য পরিবহণও বন্ধ রাখা হবে। তিনি বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত ৭৫টি জেলায় লকডাউনের প্রস্তাব দিয়ে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ জারি করতে বলা হয়েছে। তবে লকডাউনের সময় জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। পাশাপাশি লকডাউনের ফলে গরিব মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখার কথাও বলা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: লকডাউনের পথে কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরশহর!
আরও পড়ুুন: ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাতিল সব রকম যাত্রিবাহী ট্রেন, বন্ধ মেট্রোও
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়েছে, ‘‘প্রচুর মানুষ বিদেশ থেকে ফিরেছেন। থার্মাল স্ক্রিনিং করে যাঁদের প্রাথমিক উপসর্গ ছিল, তাঁদের ইতিমধ্যেই আইসোলেশন করা হয়েছে। যাঁদের লক্ষ্মণ ছিল না, তাঁদেরও আইসোলেশনের কথা বলা হয়েছিল। তাঁদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে হবে।’’