প্রতীকী ছবি।
শনি-রবিবারের মতো সাপ্তাহিক ছুটি বা সরকারি ছুটির দিনেও খোলা থাকবে টিকাকরণ কেন্দ্র। টিকাকরণের হার বাড়াতে অন্তত আগামী এক মাস সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাতিল করে টানা তিরিশ দিনই রাজ্যগুলিকে টিকাকরণ চালিয়ে যেতে আজ নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
সংক্রমণ রুখতে এক দিকে কোভিড-বিধি মেনে চলা ও অন্য দিকে টিকাকরণের উপরে জোর দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু অতিমারির এক বছরের মাথায় ক্রমশ কোভিড-বিধি মানার ক্ষেত্রে জনমানসে অনীহা দেখা দিতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ছিল বৃহত্তর সংখ্যক মানুষের টিকাকরণ। কিন্তু বাস্তবে গত আড়াই মাসে প্রতিষেধকের আওতায় এসেছেন মাত্র ৬.৫ কোটি দেশবাসী, যা প্রত্যাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘এই আবহে আগামী দেড় থেকে দু’মাস মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংক্রমণ কমবে, না করোনা ফের গোটা দেশে রাজত্ব করবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে আগামী দু’মাসের উপরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোখার সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হল টিকাকরণ। তাই টিকাকরণের প্রশ্নে সর্বাত্মক ভাবে ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’’
আজ কেন্দ্রের পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী এক মাস রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র প্রতিদিন খোলা রাখা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। প্রয়োজনে টিকাকেন্দ্রের কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি বা সরকারি ছুটি বাতিল করার নির্দেশও দিতে হবে। আগামী এক মাস টানা প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে কেন্দ্র। বেশ কিছু রাজ্য প্রতিষেধকের জোগান অপ্রতুল বলে যে অভিযোগ তুলেছে, আজ ফের তা খারিজ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রতিষেধকের কোনও অভাব নেই।